নৌপথে বিপজ্জনক মৌসুম: ৭ মাস নিয়ন্ত্রিত থাকবে নৌযান চলাচল
সাইফুর রহমান মিরণ, বরিশাল | ১৫ মার্চ, ২০১৯ ২০:০২
বিআইডব্লিউটিএ ঘোষিত বিপজ্জনক মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত দেশের ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বে-ক্রসিং সনদ (সমুদ্রে চলার উপযোগী) ব্যতীত অন্যান্য নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিপজ্জনক মৌসুমের ৭ মাস দেশের তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথে বে-ক্রসিং সনদ জাহাজ ব্যতীত অন্য সকল ধরনের নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ্ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বরিশাল অঞ্চলে রয়েছে বেশির ভাগ নদনদী।
আগামী ১৫ অক্টোবর বিপজ্জনক মৌসুম শেষ হলে ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সব ধরনের নৌযান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক শাখার উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, ২০০০ সাল থেকে বিআইডব্লিউটিএ এই নিয়ম কার্যকর করে। কালবৈশাখী মৌসুম শুরু হওয়ায় অক্টোবর পর্যন্ত নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। এই সময় উত্তাল থাকে নদ-নদী। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত নৌপথে আগামী সাত মাস বে-ক্রসিং সনদ ব্যতীত অন্যান্য নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা থাকা নদ-নদীগুলোর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট রয়েছে। এগুলো হলো বরিশাল-লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীরহাট, ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরীরহাট, ভোলার মীর্জাকালু-নোয়াখালীর চর আলেকজান্ডার এবং ভোলার শশীগঞ্জ-মনপুরা। এসব রুটে চলাচলকারী ২৮টি যাত্রীবাহী নৌযানের বে-ক্রসিং সনদ না থাকায় সেগুলো ৭ মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপপরিচালক আজমল হুদা। এসব রুটের যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ করতে বিআইডব্লিউটিসির সি-ট্রাক ৭ মাস চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশাল দপ্তরের উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, উল্লেখিত রুটগুলোতে সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সাইফুর রহমান মিরণ, বরিশাল | ১৫ মার্চ, ২০১৯ ২০:০২

বিআইডব্লিউটিএ ঘোষিত বিপজ্জনক মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত দেশের ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বে-ক্রসিং সনদ (সমুদ্রে চলার উপযোগী) ব্যতীত অন্যান্য নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিপজ্জনক মৌসুমের ৭ মাস দেশের তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথে বে-ক্রসিং সনদ জাহাজ ব্যতীত অন্য সকল ধরনের নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ্ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বরিশাল অঞ্চলে রয়েছে বেশির ভাগ নদনদী।
আগামী ১৫ অক্টোবর বিপজ্জনক মৌসুম শেষ হলে ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সব ধরনের নৌযান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক শাখার উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, ২০০০ সাল থেকে বিআইডব্লিউটিএ এই নিয়ম কার্যকর করে। কালবৈশাখী মৌসুম শুরু হওয়ায় অক্টোবর পর্যন্ত নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। এই সময় উত্তাল থাকে নদ-নদী। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত নৌপথে আগামী সাত মাস বে-ক্রসিং সনদ ব্যতীত অন্যান্য নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা থাকা নদ-নদীগুলোর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট রয়েছে। এগুলো হলো বরিশাল-লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীরহাট, ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরীরহাট, ভোলার মীর্জাকালু-নোয়াখালীর চর আলেকজান্ডার এবং ভোলার শশীগঞ্জ-মনপুরা। এসব রুটে চলাচলকারী ২৮টি যাত্রীবাহী নৌযানের বে-ক্রসিং সনদ না থাকায় সেগুলো ৭ মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপপরিচালক আজমল হুদা। এসব রুটের যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ করতে বিআইডব্লিউটিসির সি-ট্রাক ৭ মাস চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশাল দপ্তরের উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, উল্লেখিত রুটগুলোতে সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।