ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ মার্চ, ২০১৯ ১৯:১৯
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা বিশ্ববিদল্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ভিপি পদে পরাজয় মেনে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল হক নুরকে
বিজয়ী হিসেবে অভিনন্দন জানানোয় এ ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
নুরুল হক নুরু কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্যানেল থেকে ছাত্রলীগ সভাপতিকে পরাজিত করে ভিপি পদে বিজয়ী হন। পরদিন দিনজুড়ে এ নিয়ে বিক্ষোভ করলেও সন্ধ্যায় নুরুল হক নুরুকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানান শোভন।
শনিবার ডাকসুর সব বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে গণভবনে পরিচিত হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বিজয়ী প্রার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া শোনেন।
পরিচয়পর্ব শেষে তিনি বক্তৃতায় শোভনকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোভন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। সে কারণে পরাজয় মেনে নিতে তার সমস্যা হয়নি। আমি তাকে দন্যবাদ জানাই। তার পরিবারের সবাই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের সন্তান শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র। তিনি আইন বিভাগ থেকে সদ্য মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগের কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন।
শোভনের দাদা মরহুম শামসুল হক চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক (৬নং সেক্টর এর প্রচার বিভাগের চেয়ারম্যান), কুড়িগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ১৯৭৩ ও ১৯৭৯। ১৯৭৫ পরবর্তী ১৯৭৭ সালে দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করেন।
শোভনের বাবা ১৯৮১ সালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯১ সালে থানা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০১ সালে থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০০১-২০১০) ও ২০১১ সালে পুনরায় থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০১১-অদ্যাবদি)। এর পাশাপাশি তিনি নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ মার্চ, ২০১৯ ১৯:১৯

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা বিশ্ববিদল্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ভিপি পদে পরাজয় মেনে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল হক নুরকে বিজয়ী হিসেবে অভিনন্দন জানানোয় এ ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
নুরুল হক নুরু কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্যানেল থেকে ছাত্রলীগ সভাপতিকে পরাজিত করে ভিপি পদে বিজয়ী হন। পরদিন দিনজুড়ে এ নিয়ে বিক্ষোভ করলেও সন্ধ্যায় নুরুল হক নুরুকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানান শোভন।
শনিবার ডাকসুর সব বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে গণভবনে পরিচিত হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বিজয়ী প্রার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া শোনেন।
পরিচয়পর্ব শেষে তিনি বক্তৃতায় শোভনকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোভন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। সে কারণে পরাজয় মেনে নিতে তার সমস্যা হয়নি। আমি তাকে দন্যবাদ জানাই। তার পরিবারের সবাই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের সন্তান শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র। তিনি আইন বিভাগ থেকে সদ্য মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগের কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন।
শোভনের দাদা মরহুম শামসুল হক চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক (৬নং সেক্টর এর প্রচার বিভাগের চেয়ারম্যান), কুড়িগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ১৯৭৩ ও ১৯৭৯। ১৯৭৫ পরবর্তী ১৯৭৭ সালে দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করেন।
শোভনের বাবা ১৯৮১ সালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯১ সালে থানা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০১ সালে থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০০১-২০১০) ও ২০১১ সালে পুনরায় থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০১১-অদ্যাবদি)। এর পাশাপাশি তিনি নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান।