ঘাতক ট্যারেন্টকে ক্ষমা করে দিয়েছেন স্ত্রী হারানো ফরিদ
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ মার্চ, ২০১৯ ১০:৩৫
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্ত্রীকে হারিয়েছেন হুইল চেয়ারে চলাফেরা করা ফরিদ আহমেদ। তাকে জুমার দিন মসজিদে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী হোসেন আরা পারভীনই।
নামাজ শুরুর ১০ মিনিট আগে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে নির্বিচার গুলি চালাতে শুরু করে শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান যুবক ব্রেনটন ট্যারেন্ট। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হোসনে আরা।
এএফপির বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি জানায়, স্ত্রীকে হারিয়ে অনেকটা স্তব্ধ ফরিদ আহমেদ। স্ত্রীকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না এই বাংলাদেশি প্রবাসী।
তবে হামলাকারী সম্পর্কে ফরিদ আহমেদ বলেন, “আমি তাকে বলবো- একজন মানুষ হিসেবে তাকে আমি ভালোবাসি। তবে সে যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা মেনে নিতে পারি না। সে একটি ভুল কাজ করেছে।”
২৮ বছর বয়সী ওই সন্ত্রাসীকে ক্ষমা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “অবশ্যই। সবচেয়ে উত্তম বিষয় হলো- ক্ষমা করে দেওয়া, উদারতা প্রদর্শন, ভালোবাসতে ও যত্ন নিতে পারা, ইতিবাচক হওয়া।”
বিবিসিকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফরিদ আহমেদ বলেন, “গুলি শুরু হয়েছে মসজিদের হলওয়ে থেকে। হলওয়ের এক সাইডে ছিল লেডিস রুম। আমার ওয়াইফ ওখানে বেশ কিছু লেডিস ও চিলড্রেনদের (নারী ও শিশু) বাঁচানোর জন্য ওদের গেট দিয়ে বের করে মসজিদের বাম সাইডে একটা নিরাপদ জায়গায় রেখে ফিরে আসছিল আমাকে সাহায্য করার জন্য। ও যখন ফিরে আসতেছিল তখন গেটের কাছে ওকে গুলি করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী অত্যন্ত জনদরদি মহিলা। মানুষকে বাঁচানোর জন্য তিনি যেভাবে প্রাণ দিয়েছেন এটা খুবই গর্বের।
ফরিদ আহমেদ বলেন, “ও যেরকম ভালো মানুষ ছিল; ও কিছু ভালো কাজ করে চলে গেছে। এখন ও হাসতেছে। কিন্তু মানুষ ওর জন্য কাঁদবে।”
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদসহ দুটি মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টানের গুলিতে কয়েকজন বাংলাদেশিসহ কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হন। আহত হন আরও ৪৬ জন যাদের ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত বাংলাদেশিদের একজন হোসনে আরা পারভীন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ মার্চ, ২০১৯ ১০:৩৫

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্ত্রীকে হারিয়েছেন হুইল চেয়ারে চলাফেরা করা ফরিদ আহমেদ। তাকে জুমার দিন মসজিদে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী হোসেন আরা পারভীনই।
নামাজ শুরুর ১০ মিনিট আগে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে নির্বিচার গুলি চালাতে শুরু করে শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান যুবক ব্রেনটন ট্যারেন্ট। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হোসনে আরা।
এএফপির বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি জানায়, স্ত্রীকে হারিয়ে অনেকটা স্তব্ধ ফরিদ আহমেদ। স্ত্রীকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না এই বাংলাদেশি প্রবাসী।
তবে হামলাকারী সম্পর্কে ফরিদ আহমেদ বলেন, “আমি তাকে বলবো- একজন মানুষ হিসেবে তাকে আমি ভালোবাসি। তবে সে যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা মেনে নিতে পারি না। সে একটি ভুল কাজ করেছে।”
২৮ বছর বয়সী ওই সন্ত্রাসীকে ক্ষমা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “অবশ্যই। সবচেয়ে উত্তম বিষয় হলো- ক্ষমা করে দেওয়া, উদারতা প্রদর্শন, ভালোবাসতে ও যত্ন নিতে পারা, ইতিবাচক হওয়া।”

বিবিসিকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফরিদ আহমেদ বলেন, “গুলি শুরু হয়েছে মসজিদের হলওয়ে থেকে। হলওয়ের এক সাইডে ছিল লেডিস রুম। আমার ওয়াইফ ওখানে বেশ কিছু লেডিস ও চিলড্রেনদের (নারী ও শিশু) বাঁচানোর জন্য ওদের গেট দিয়ে বের করে মসজিদের বাম সাইডে একটা নিরাপদ জায়গায় রেখে ফিরে আসছিল আমাকে সাহায্য করার জন্য। ও যখন ফিরে আসতেছিল তখন গেটের কাছে ওকে গুলি করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী অত্যন্ত জনদরদি মহিলা। মানুষকে বাঁচানোর জন্য তিনি যেভাবে প্রাণ দিয়েছেন এটা খুবই গর্বের।
ফরিদ আহমেদ বলেন, “ও যেরকম ভালো মানুষ ছিল; ও কিছু ভালো কাজ করে চলে গেছে। এখন ও হাসতেছে। কিন্তু মানুষ ওর জন্য কাঁদবে।”
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদসহ দুটি মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টানের গুলিতে কয়েকজন বাংলাদেশিসহ কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হন। আহত হন আরও ৪৬ জন যাদের ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত বাংলাদেশিদের একজন হোসনে আরা পারভীন।