বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ সিইসির
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১৯ মার্চ, ২০১৯ ১৫:৫১
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। ছবি: হাবিবুর রব।
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। কারা এই হত্যাকাণ্ডে ঘটিয়েছে, তা আমরা এখনো জানি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। এর আগে তিনি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহতদের দেখতে যান। এ সময় সিইসি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
বাঘাইছড়িতে দুষ্কৃতকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিলাম। বিডিআর, পুলিশ, র্যাব সবাই ছিল। বিজিবির গাড়ি সামনে থেকে মালামালসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছিল। পেছনে যারা ছিল তাদেরকে অ্যাটাক করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যে জায়গায় অ্যাটাক করা হয়েছে সেখানের রাস্তা ছিল সংকীর্ণ। গাড়ি ঘোরানোর মতো জায়গা ছিল না। যে কারণে প্রোটেকশনে যেসব গাড়ি ছিল, সেগুলো সামনে চলে গেছে। দুষ্কৃতকারীরা সেই সুযোগে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে।’
এখানে সমন্বয়ের কোন অভাব ছিল কি না এবং গাড়িবহরের পেছন দিকে কেন পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘এখানে নিরাপত্তার কোন অভাব ছিল না। পেছনে পুলিশ ছিল। কয়েকজন পুলিশও গুলি খেয়েছে। আমি একটু আগে দেখে আসলাম।’
তিনি বলেন, যারাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাগণ সিইসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১৯ মার্চ, ২০১৯ ১৫:৫১

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। কারা এই হত্যাকাণ্ডে ঘটিয়েছে, তা আমরা এখনো জানি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। এর আগে তিনি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহতদের দেখতে যান। এ সময় সিইসি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
বাঘাইছড়িতে দুষ্কৃতকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিলাম। বিডিআর, পুলিশ, র্যাব সবাই ছিল। বিজিবির গাড়ি সামনে থেকে মালামালসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছিল। পেছনে যারা ছিল তাদেরকে অ্যাটাক করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যে জায়গায় অ্যাটাক করা হয়েছে সেখানের রাস্তা ছিল সংকীর্ণ। গাড়ি ঘোরানোর মতো জায়গা ছিল না। যে কারণে প্রোটেকশনে যেসব গাড়ি ছিল, সেগুলো সামনে চলে গেছে। দুষ্কৃতকারীরা সেই সুযোগে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে।’
এখানে সমন্বয়ের কোন অভাব ছিল কি না এবং গাড়িবহরের পেছন দিকে কেন পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘এখানে নিরাপত্তার কোন অভাব ছিল না। পেছনে পুলিশ ছিল। কয়েকজন পুলিশও গুলি খেয়েছে। আমি একটু আগে দেখে আসলাম।’
তিনি বলেন, যারাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাগণ সিইসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।