হালকা যানের লাইসেন্স দিয়ে কিভাবে বাস চালাচ্ছিল: আতিকুল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ মার্চ, ২০১৯ ১২:৩৫
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেওয়া সুপ্রভাত পরিবহনের বাসচালকের লাইসেন্স ছিল না। হালকা যানের লাইসেন্স দিয়ে সে বাস চালাচ্ছিল।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রগতি সরণিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম একথা বলেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে জানিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মেয়র আতিকুল বলেন, “নিরাপদ সড়ক আমাদের সবার দাবি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) ওই চালকের লাইসেন্স দেখলাম লাইট ভেহিকলের (হালকা যানের)। লাইট ভেহিকলের লাইসেন্স দিয়ে সে কিভাবে বাস চালাতে পারে?”
শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, “এখন থেকে স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথায় বাস থামাতে পারবে না। এবিষয়ে সবাই সহযোগিতা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্ঘটনাস্থলে আবরারের নামে দুই মাসের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। আবরারের বাবাকে সেটা উদ্বোধন করতে অনুরোধ করেছি। ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ নিয়ে আজই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসবো।”
এর আগে বিইউপি ছাত্র আবরারের নিহতের ঘটনায় আট দফা দাবিতে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মূল ফটকের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। তারা ওই সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর নর্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই পরিবহনের অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক। পথচারী পারাপারের জেব্রা ক্রসিংয়েই আবরারকে চাপা দেয় বাসটি।
দুর্ঘটনার পর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা ৮ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ মার্চ, ২০১৯ ১২:৩৫

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেওয়া সুপ্রভাত পরিবহনের বাসচালকের লাইসেন্স ছিল না। হালকা যানের লাইসেন্স দিয়ে সে বাস চালাচ্ছিল।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রগতি সরণিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম একথা বলেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে জানিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মেয়র আতিকুল বলেন, “নিরাপদ সড়ক আমাদের সবার দাবি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) ওই চালকের লাইসেন্স দেখলাম লাইট ভেহিকলের (হালকা যানের)। লাইট ভেহিকলের লাইসেন্স দিয়ে সে কিভাবে বাস চালাতে পারে?”
শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, “এখন থেকে স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথায় বাস থামাতে পারবে না। এবিষয়ে সবাই সহযোগিতা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্ঘটনাস্থলে আবরারের নামে দুই মাসের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। আবরারের বাবাকে সেটা উদ্বোধন করতে অনুরোধ করেছি। ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ নিয়ে আজই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসবো।”
এর আগে বিইউপি ছাত্র আবরারের নিহতের ঘটনায় আট দফা দাবিতে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মূল ফটকের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। তারা ওই সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর নর্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই পরিবহনের অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক। পথচারী পারাপারের জেব্রা ক্রসিংয়েই আবরারকে চাপা দেয় বাসটি।
দুর্ঘটনার পর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা ৮ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।