শাহনাজ রহমতউল্লাহর দাফন দুপুরে সামরিক কবরস্থানে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ মার্চ, ২০১৯ ০৯:৫১
দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহকে রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে বাদ জোহর জানাজা হবে বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে। শনিবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন তার স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ।
শনিবার রাত সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর বারিধারার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই গুণী শিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
সংগীতশিল্পী শফিক তুহিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বারিধারার বাসাতে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন আমাদের সবার প্রিয় শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। আমি এখন তার বাসার দিকেই যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’ গত ৭-৮ বছর যাবৎ সংগীতজীবন একরকম ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। ধর্মকর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘খোলা জানালা’, ‘পারি না ভুলে যেতে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, ‘আমি তো আমার গল্প বলেছি’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’- এ রকম অসংখ্য গান দিয়ে অগণিত শ্রোতার মন জয় করেছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ।
১৯৬৩ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে রেডিও এবং চলচ্চিত্রের গানে তার যাত্রা শুরু। ১৯৬৪ সালে তিনি টিভিতে প্রথম গান করেন। গানের জগতে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ে তার চারটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমটি ছিল প্রণব ঘোষের সুরে ‘বারটি বছর পরে’। তারপর প্রকাশিত হয় আলাউদ্দীন আলীর সুরে ‘শুধু কি আমার ভুল’।
শাহনাজের বড় ভাই সুরকার আনোয়ার পারভেজ; আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন জনপ্রিয় নায়ক ও গায়ক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানে আটকে পড়ে করাচি টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন শাহনাজ। গান শেখার সুযোগ হয় গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কাছে।
শাহনাজ রহমতুল্লাহ ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৯০ সালে ‘ছুটির ফাঁদে’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ মার্চ, ২০১৯ ০৯:৫১

দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহকে রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে বাদ জোহর জানাজা হবে বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে। শনিবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন তার স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ।
শনিবার রাত সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর বারিধারার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই গুণী শিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
সংগীতশিল্পী শফিক তুহিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বারিধারার বাসাতে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন আমাদের সবার প্রিয় শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। আমি এখন তার বাসার দিকেই যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’ গত ৭-৮ বছর যাবৎ সংগীতজীবন একরকম ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। ধর্মকর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘খোলা জানালা’, ‘পারি না ভুলে যেতে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, ‘আমি তো আমার গল্প বলেছি’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’- এ রকম অসংখ্য গান দিয়ে অগণিত শ্রোতার মন জয় করেছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ।
১৯৬৩ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে রেডিও এবং চলচ্চিত্রের গানে তার যাত্রা শুরু। ১৯৬৪ সালে তিনি টিভিতে প্রথম গান করেন। গানের জগতে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ে তার চারটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমটি ছিল প্রণব ঘোষের সুরে ‘বারটি বছর পরে’। তারপর প্রকাশিত হয় আলাউদ্দীন আলীর সুরে ‘শুধু কি আমার ভুল’।
শাহনাজের বড় ভাই সুরকার আনোয়ার পারভেজ; আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন জনপ্রিয় নায়ক ও গায়ক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানে আটকে পড়ে করাচি টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন শাহনাজ। গান শেখার সুযোগ হয় গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কাছে।
শাহনাজ রহমতুল্লাহ ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৯০ সালে ‘ছুটির ফাঁদে’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।