মাদকাসক্তি লুকিয়ে রাখার কোন ব্যাপার নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | ২৪ মার্চ, ২০১৯ ১৯:১৭
মাদকাসক্তি লুকিয়ে রাখার কোন ব্যাপার নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘যারা মাদক সেবন শুরু করেছেন তারা ছেড়ে দেবেন। যারা এ্যডিক্টেড হয়েছেন তারা চিকিৎসা নেবেন। আমরা চাই কোন ছেলে-মেয়ের জন্য তার বাবা-মাকে যেন মাথা নিচু করে হাটতে না হয়। কোন ছেলে-মেয়ের জন্য বাবা-মা যেন পালিয়ে না বেড়ায়। ছেলে-মেয়েরা যেন সমাজ নষ্ট না করে’।
রবিবার বিকেলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের নাপিতেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে মাদকবিরোধী সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জেলার ২০ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীসহ ৭৪ জন আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণ করলে আইনি সহায়তা পাবেন। জলদস্যু, বনদস্যুদের অন্যায়ের পথ থেকে ফেরার পর জীবিকা নির্বাহের জন্য যে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে আত্মসমর্পণ করা মাদক ব্যবসায়ীদেরও সেই সহযোগিতা দেওয়া হবে।
মাদকবিরোধী এই সুধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরও বলেন, আপনারা যদি দেশকে বাঁচাতে চান, যুব শক্তিকে বাঁচাতে চান, নতুন প্রজন্মকে যদি আমরা মাদক থেকে বাঁচাতে না পারি তাহলে আমাদের স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে।
তিনি বলেন, মাদকের সাপ্লাই দমন করার জন্য বিজিবি-কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে। মাদক কারবারিদের দেখামাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারাগারে ৩৫ হাজার ধারণক্ষমতার মধ্যে ৯০ হাজারের অধিক বন্দী রয়েছে। যার মধ্যে অর্ধেকই রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী। কাজেই আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছি। মাদক আইন সংশোধন করছি এবং মাদক আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। আমরা মাদকের চাহিদা হ্রাস করছি, সাপ্লাই হ্রাস করছি।
পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় মাদকবিরোধী এই সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সাংসদ ফজলে রাব্বী মিয়া, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাংসদ শামীম হায়দার পাটওয়ারী। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহি রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন, জেল সুপার মাহবুবুল আলম ও জেলা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জমাান খন্দকার প্রমুখ।
এর আগে ফুলছড়ি নতুন থানা ভবন উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনসে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | ২৪ মার্চ, ২০১৯ ১৯:১৭
মাদকাসক্তি লুকিয়ে রাখার কোন ব্যাপার নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘যারা মাদক সেবন শুরু করেছেন তারা ছেড়ে দেবেন। যারা এ্যডিক্টেড হয়েছেন তারা চিকিৎসা নেবেন। আমরা চাই কোন ছেলে-মেয়ের জন্য তার বাবা-মাকে যেন মাথা নিচু করে হাটতে না হয়। কোন ছেলে-মেয়ের জন্য বাবা-মা যেন পালিয়ে না বেড়ায়। ছেলে-মেয়েরা যেন সমাজ নষ্ট না করে’।
রবিবার বিকেলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের নাপিতেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে মাদকবিরোধী সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জেলার ২০ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীসহ ৭৪ জন আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণ করলে আইনি সহায়তা পাবেন। জলদস্যু, বনদস্যুদের অন্যায়ের পথ থেকে ফেরার পর জীবিকা নির্বাহের জন্য যে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে আত্মসমর্পণ করা মাদক ব্যবসায়ীদেরও সেই সহযোগিতা দেওয়া হবে।
মাদকবিরোধী এই সুধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরও বলেন, আপনারা যদি দেশকে বাঁচাতে চান, যুব শক্তিকে বাঁচাতে চান, নতুন প্রজন্মকে যদি আমরা মাদক থেকে বাঁচাতে না পারি তাহলে আমাদের স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে।
তিনি বলেন, মাদকের সাপ্লাই দমন করার জন্য বিজিবি-কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে। মাদক কারবারিদের দেখামাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারাগারে ৩৫ হাজার ধারণক্ষমতার মধ্যে ৯০ হাজারের অধিক বন্দী রয়েছে। যার মধ্যে অর্ধেকই রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী। কাজেই আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছি। মাদক আইন সংশোধন করছি এবং মাদক আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। আমরা মাদকের চাহিদা হ্রাস করছি, সাপ্লাই হ্রাস করছি।
পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় মাদকবিরোধী এই সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সাংসদ ফজলে রাব্বী মিয়া, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাংসদ শামীম হায়দার পাটওয়ারী। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহি রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন, জেল সুপার মাহবুবুল আলম ও জেলা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জমাান খন্দকার প্রমুখ।
এর আগে ফুলছড়ি নতুন থানা ভবন উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনসে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।