মানবতাবিরোধী অপরাধ
গাইবান্ধার ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ মার্চ, ২০১৯ ২৩:০৩
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ৯ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সোমবার সংস্থার ধানমন্ডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনটি ভলিউমে ১৮১ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে তা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান, সহ সমন্বয়ক সানাউল হক খানসহ তদন্তকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, আটক, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন, মো. মোফাজ্জল হক প্রধান, ওরফে মোফা (৮২); মো. সেকেন্দার আলী (৬৬); মো. আব্দুল করিম (৬৩); মো. ইসমাইল হোসেন (৭০); মো. আকরাম প্রধান (৬৮) ও মো. হাফিজার রহমান (৬৪)। এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ওরফে মো. শরফ উদ্দিন খান (৬৪); মো. সামছুল ইসলাম খান (৬৪) এবং মো. আব্দুল মান্নান (৬৪)।
২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ওই ৯ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ১ বছর ১ মাস ২৬ দিন তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুর রশিদ। প্রতিবেদনে অপরাধ সংগঠনের ঘটনাস্থল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন কাটাবাড়ির ইউনিয়নের ১ নম্বর কাটাবাড়ি ও ৭ নম্বর কাটাবাড়ি গ্রাম এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ও বালুয়া গ্রামে। তদন্তের সময় ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মোফাজ্জল হক প্রধান ওরফে মোফা জামায়াতের নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। বর্তমানে মোফা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া রাজাকার আব্দুল করিম একাত্তরে জামায়াতের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাকি সাত আসামির সবাই একাত্তরে জামায়াতের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন এবং বর্তমানে এই সাতজন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ট্রাইব্যুনাল সোমবার ৯ বছর পেরিয়ে দশম বছরে পা দিয়েছে। এ উপলক্ষে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে কেক কেটে নবম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ মার্চ, ২০১৯ ২৩:০৩

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ৯ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সোমবার সংস্থার ধানমন্ডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনটি ভলিউমে ১৮১ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে তা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান, সহ সমন্বয়ক সানাউল হক খানসহ তদন্তকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, আটক, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন, মো. মোফাজ্জল হক প্রধান, ওরফে মোফা (৮২); মো. সেকেন্দার আলী (৬৬); মো. আব্দুল করিম (৬৩); মো. ইসমাইল হোসেন (৭০); মো. আকরাম প্রধান (৬৮) ও মো. হাফিজার রহমান (৬৪)। এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ওরফে মো. শরফ উদ্দিন খান (৬৪); মো. সামছুল ইসলাম খান (৬৪) এবং মো. আব্দুল মান্নান (৬৪)।
২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ওই ৯ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ১ বছর ১ মাস ২৬ দিন তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুর রশিদ। প্রতিবেদনে অপরাধ সংগঠনের ঘটনাস্থল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন কাটাবাড়ির ইউনিয়নের ১ নম্বর কাটাবাড়ি ও ৭ নম্বর কাটাবাড়ি গ্রাম এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ও বালুয়া গ্রামে। তদন্তের সময় ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মোফাজ্জল হক প্রধান ওরফে মোফা জামায়াতের নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। বর্তমানে মোফা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া রাজাকার আব্দুল করিম একাত্তরে জামায়াতের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাকি সাত আসামির সবাই একাত্তরে জামায়াতের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন এবং বর্তমানে এই সাতজন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ট্রাইব্যুনাল সোমবার ৯ বছর পেরিয়ে দশম বছরে পা দিয়েছে। এ উপলক্ষে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে কেক কেটে নবম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।