তিন পাসপোর্ট অফিসে অনিয়মের প্রমাণ পেল দুদক, গ্রেপ্তার ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ মার্চ, ২০১৯ ২৩:৫৫
পাসপোর্ট সেবায় নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে দেশের তিনটি পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার ঢাকার আগারগাঁও, বগুড়া ও দিনাজপুর পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঢাকায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনিয়মের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলার নেতৃত্বে পুলিশসহ সাত সদস্যের একটি দল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায়। দুদকের দলটি ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে তিন দালালকে গ্রেপ্তার করে।
দালালদের যোগসাজশে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফিয়ের অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রিন্টিং শাখার নিম্নমান সহকারী সৈয়দ আল আমিন ও রাজু আহমেদকে এবং পাসপোর্ট অফিসের দালাল রহিজ উদ্দিন, ওয়াহিদ হোসেন বাবু ও ওয়াহিদুর রহমান সোহাগকে। এর মধ্যে রহিজ উদ্দিন, ওয়াহিদ হোসেন বাবু ও ওয়াহিদুর রহমান সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক দল। তাদের কাছ থেকে ১৩টি পাসপোর্ট ও ২৭ হাজার ৬২৩ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের এনফোর্সমেন্ট দল বগুড়া পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে দালালদের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি না থাকলেও তারা আশপাশে ছিল। তারা অফিসের বাইরে ফটোকপির দোকানগুলোতে অবস্থান করে তাদের কর্মকাণ্ড চালায়। দুদকের দলটি জেলা পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালককে দালালদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে অবহিত করে।
আরেক অভিযানে সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশের নেতৃত্বে একটি দল দিনাজপুর পাসপোর্ট অফিস পরিদর্শন করে অনিয়ম খুঁজে পায়। দলটি পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে এবং বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে পাসপোর্ট করতে আগ্রহী লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, স্থানীয় এক দালাল আনসার সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্নভাবে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি, দালালি এবং ফরম পূরণের কাজ করে থাকে। একজন অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং আবেদনপত্রে ভুল না থাকা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দেন। ফলে বাধ্য হয়ে সেবাপ্রার্থীরা দালালদের শরণাপন্ন হন। এ বিষয়ে জেলা পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালককে অবহিত করা হলে তিনি অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে দুদক দলকে প্রতিশ্রুতি দেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ মার্চ, ২০১৯ ২৩:৫৫

পাসপোর্ট সেবায় নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে দেশের তিনটি পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার ঢাকার আগারগাঁও, বগুড়া ও দিনাজপুর পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঢাকায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনিয়মের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলার নেতৃত্বে পুলিশসহ সাত সদস্যের একটি দল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায়। দুদকের দলটি ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে তিন দালালকে গ্রেপ্তার করে।
দালালদের যোগসাজশে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফিয়ের অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রিন্টিং শাখার নিম্নমান সহকারী সৈয়দ আল আমিন ও রাজু আহমেদকে এবং পাসপোর্ট অফিসের দালাল রহিজ উদ্দিন, ওয়াহিদ হোসেন বাবু ও ওয়াহিদুর রহমান সোহাগকে। এর মধ্যে রহিজ উদ্দিন, ওয়াহিদ হোসেন বাবু ও ওয়াহিদুর রহমান সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক দল। তাদের কাছ থেকে ১৩টি পাসপোর্ট ও ২৭ হাজার ৬২৩ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের এনফোর্সমেন্ট দল বগুড়া পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে দালালদের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি না থাকলেও তারা আশপাশে ছিল। তারা অফিসের বাইরে ফটোকপির দোকানগুলোতে অবস্থান করে তাদের কর্মকাণ্ড চালায়। দুদকের দলটি জেলা পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালককে দালালদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে অবহিত করে।
আরেক অভিযানে সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশের নেতৃত্বে একটি দল দিনাজপুর পাসপোর্ট অফিস পরিদর্শন করে অনিয়ম খুঁজে পায়। দলটি পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে এবং বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে পাসপোর্ট করতে আগ্রহী লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, স্থানীয় এক দালাল আনসার সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্নভাবে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি, দালালি এবং ফরম পূরণের কাজ করে থাকে। একজন অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং আবেদনপত্রে ভুল না থাকা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দেন। ফলে বাধ্য হয়ে সেবাপ্রার্থীরা দালালদের শরণাপন্ন হন। এ বিষয়ে জেলা পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালককে অবহিত করা হলে তিনি অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে দুদক দলকে প্রতিশ্রুতি দেন।