অবস্থান পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ মার্চ, ২০১৯ ১৫:৪০
ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি-বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে প্রকাশিত এমন অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় ২৬ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটা জানিয়েছেন ডেপুটি মুখপাত্র রবার্ট প্যালাদিনো।
প্রশ্ন: সম্প্রতি প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। স্পষ্টত, বিরোধী দল এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই আমি বিস্ময় যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র কী কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হলো- নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়নি?
উত্তর: আমি শুধু বলবো যে, আপনি যেমনটা সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন- সম্প্রতি আমরা মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছি। আমরা বলেছি, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ হয়নি এবং সুষ্ঠু ছিল না। জালভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, বিরোধী দলীয় পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনসহ এতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
এটা বলতে হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে সহযোগিতা, সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গির দীর্ঘ একটি ইতিহাস। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ যা তার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখায় এবং তার শাসন কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতি করতে চায়।
বাংলাদেশে রয়েছে চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক উন্নয়ন- অর্থনৈতিক উন্নয়নের নজরকাড়া রেকর্ড- গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। এগুলো পরস্পর বিরোধী বিষয় নয়, বরং এগুলো আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি শক্তিশালী করবে।
তাই পারস্পরিক এসব লক্ষ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধীদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করে যেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি আমি এখানেই ছেড়ে দিতে চাই।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ মার্চ, ২০১৯ ১৫:৪০

ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি-বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে প্রকাশিত এমন অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় ২৬ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটা জানিয়েছেন ডেপুটি মুখপাত্র রবার্ট প্যালাদিনো।
প্রশ্ন: সম্প্রতি প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। স্পষ্টত, বিরোধী দল এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই আমি বিস্ময় যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র কী কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হলো- নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়নি?
উত্তর: আমি শুধু বলবো যে, আপনি যেমনটা সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন- সম্প্রতি আমরা মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছি। আমরা বলেছি, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ হয়নি এবং সুষ্ঠু ছিল না। জালভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, বিরোধী দলীয় পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনসহ এতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
এটা বলতে হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে সহযোগিতা, সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গির দীর্ঘ একটি ইতিহাস। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ যা তার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখায় এবং তার শাসন কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতি করতে চায়।
বাংলাদেশে রয়েছে চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক উন্নয়ন- অর্থনৈতিক উন্নয়নের নজরকাড়া রেকর্ড- গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। এগুলো পরস্পর বিরোধী বিষয় নয়, বরং এগুলো আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি শক্তিশালী করবে।
তাই পারস্পরিক এসব লক্ষ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধীদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করে যেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি আমি এখানেই ছেড়ে দিতে চাই।