তারেককে ফেরাতে আইনমন্ত্রীর তাগিদ, সময় লাগবে বললেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ মার্চ, ২০১৯ ১৮:৪৫
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফেরত দিতে তাগিদ দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ডিকসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আদালতের বিচারে তারেক রহমান দণ্ডিত আসামি। দুটি কারণে আমরা তাকে ফেরত চাওয়ার কথা বলেছি। এক. তারেক রহমানকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও তা দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে। দুই. দেশের আদালত তাঁকে শাস্তি দেওয়ায় তাঁর জায়গা হবে কারাগারে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য চায় না এই একটি কারণে (তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো) বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হোক। তাই আমরা ইস্যুটি নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি এখন বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’ আলোচনায় একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তবে তারকে রহমানকে ফেরাতে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় যুক্তরাজ্যের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে দেখা করার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রবার্ট ডিকসন বলেন, তারেক রহমান কোন আইনের ভিত্তিতে তার দেশে অবস্থান করছেন তা নিয়ে লন্ডনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। তবে আইনি প্রক্রিয়া স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হওয়ায় এটি অনেক দীর্ঘমেয়াদি বিষয়।
একাধিক মামলায় দণ্ডিত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ মার্চ, ২০১৯ ১৮:৪৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফেরত দিতে তাগিদ দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ডিকসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আদালতের বিচারে তারেক রহমান দণ্ডিত আসামি। দুটি কারণে আমরা তাকে ফেরত চাওয়ার কথা বলেছি। এক. তারেক রহমানকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও তা দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে। দুই. দেশের আদালত তাঁকে শাস্তি দেওয়ায় তাঁর জায়গা হবে কারাগারে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য চায় না এই একটি কারণে (তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো) বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হোক। তাই আমরা ইস্যুটি নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি এখন বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’ আলোচনায় একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তবে তারকে রহমানকে ফেরাতে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় যুক্তরাজ্যের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে দেখা করার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রবার্ট ডিকসন বলেন, তারেক রহমান কোন আইনের ভিত্তিতে তার দেশে অবস্থান করছেন তা নিয়ে লন্ডনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। তবে আইনি প্রক্রিয়া স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হওয়ায় এটি অনেক দীর্ঘমেয়াদি বিষয়।
একাধিক মামলায় দণ্ডিত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন।