নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ মার্চ, ২০১৯ ১৩:১০
ফাইল ফটো
যারা অন্যায়ে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়- সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র্যাবের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃহস্পতিবার সকালে কুর্মিটোলায় বাহিনীর সদর দপ্তরে এই কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সত্যিকারের যারা অন্যায়ে লিপ্ত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। যেকোনো আইন প্রয়োগের সময় মানবাধিকারের বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সুযোগটা যেন থাকে।”
আরও বলেন, “নিরাপদে চলাফেরার করা, শান্তিতে ঘুমানো- এটাই মানুষের দাবি। সেটা পূরণ করে দেশে যদি আমরা একটা শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা রাখতে পারি তাহলে আমাদের দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি আরও ত্বরান্বিত করতে পারব। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে। দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে পারব।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সেই ব্যবস্থা করতে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। দেশের মানুষের জীবনযাত্রা শান্তিপূর্ণ করা।”
সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, “এবারের নির্বাচনে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত তৎপর ছিল। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে বলিষ্ঠ ভূমিকা, তার ফলে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পেরেছে। যার ফলে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং তার মাধ্যমে আমরা আবারও জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।”
মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে মাদক যাতে না আসতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মাদক নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ মার্চ, ২০১৯ ১৩:১০

যারা অন্যায়ে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়- সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র্যাবের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃহস্পতিবার সকালে কুর্মিটোলায় বাহিনীর সদর দপ্তরে এই কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সত্যিকারের যারা অন্যায়ে লিপ্ত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। যেকোনো আইন প্রয়োগের সময় মানবাধিকারের বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সুযোগটা যেন থাকে।”
আরও বলেন, “নিরাপদে চলাফেরার করা, শান্তিতে ঘুমানো- এটাই মানুষের দাবি। সেটা পূরণ করে দেশে যদি আমরা একটা শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা রাখতে পারি তাহলে আমাদের দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি আরও ত্বরান্বিত করতে পারব। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে। দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে পারব।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সেই ব্যবস্থা করতে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। দেশের মানুষের জীবনযাত্রা শান্তিপূর্ণ করা।”
সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, “এবারের নির্বাচনে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত তৎপর ছিল। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে বলিষ্ঠ ভূমিকা, তার ফলে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পেরেছে। যার ফলে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং তার মাধ্যমে আমরা আবারও জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।”
মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে মাদক যাতে না আসতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মাদক নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।