১৫ দিনের মধ্যে চিহ্নিত হবে অবৈধ ভবন: গণপূর্তমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ মার্চ, ২০১৯ ১২:৩৭
ফাইল ছবি
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘কোথাও অপরিকল্পিত, অবৈধ ভবন থাকলে আমাকে তথ্য দিন। আমরা অ্যাকশনে যাবো।’
শনিবার গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি কাঁচাবাজার ও সুপার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী রোববার থেকে রাজউকের পরিদর্শন শুরু হবে। ১৫ দিনের মধ্যে চিহ্নিত করবো কোন কোন ভবন পরিকল্পনা বা নিয়মের বাইরে হয়েছে। প্রয়োজনে সিলগালা করে দেবো, অপসারণ করবো, অথবা উপযোগী অবস্থা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত সব রকম কার্যক্রম স্থগিত রাখবো।’
ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডস্থলে গণপূর্তমন্ত্রী অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে নাগরিকদের অভিযোগ করার অনুরোধ জানান।
ঢাকার বেশিরভাগ ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা শুধু গুলশান বনানী নয়, ঢাকা শহরের যে কোনও স্থানে যদি অপরিকল্পিতভাবে ইমারত নির্মিত হয়ে থাকে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থেকে থাকে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। ভবন তৈরির অনিয়মের সঙ্গে যারাই জড়িত হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিএনসিসি’র কাঁচাবাজারটি পরিকল্পিত ভবন নয় এবং এখানে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা নির্মাণ করে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এখানে বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য ব্যবস্থা সেই অনুযায়ী নেই। এটা কিন্তু দীর্ঘদিনের জঞ্জাল। আমরা চেষ্টা করছি পূর্বাচল ঝিলমিলসহ নতুন যে শহরগুলো হচ্ছে সেখানে পরিকল্পনার বাইরে কোনো স্থাপনা না হতে দেওয়ার। এখানে স্থানীয় কিছু বিরোধ আছে। আপনারা জানেন আমরা চেষ্টা করছি তা দূর করে পরিকল্পিতভাবে সমন্বয় করার।”
মন্ত্রী বলেন, “আমাদের অতীতে অনেক তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু আমরা এবার সব তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে আনবো। কোথাও কোনো ভবন নিয়ে ত্রুটি থাকলে, অভিযোগে থাকলে আমাদের জানান। আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
শনিবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজার অংশে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও। তাদের যৌথ প্রচেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, ডিএনসিসির ওই মার্কেটে ২৫০টির বেশি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে পুরো কাঁচাবাজার এলাকার সব দোকান মারাত্মকভাবে পুড়েছে। সেখানে দোকানিরা তাদের শেষ সম্বলটুকু খুঁজছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এরপর অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে মার্কেটটি চালু করা হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ মার্চ, ২০১৯ ১২:৩৭

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘কোথাও অপরিকল্পিত, অবৈধ ভবন থাকলে আমাকে তথ্য দিন। আমরা অ্যাকশনে যাবো।’
শনিবার গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি কাঁচাবাজার ও সুপার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী রোববার থেকে রাজউকের পরিদর্শন শুরু হবে। ১৫ দিনের মধ্যে চিহ্নিত করবো কোন কোন ভবন পরিকল্পনা বা নিয়মের বাইরে হয়েছে। প্রয়োজনে সিলগালা করে দেবো, অপসারণ করবো, অথবা উপযোগী অবস্থা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত সব রকম কার্যক্রম স্থগিত রাখবো।’
ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডস্থলে গণপূর্তমন্ত্রী অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে নাগরিকদের অভিযোগ করার অনুরোধ জানান।
ঢাকার বেশিরভাগ ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা শুধু গুলশান বনানী নয়, ঢাকা শহরের যে কোনও স্থানে যদি অপরিকল্পিতভাবে ইমারত নির্মিত হয়ে থাকে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থেকে থাকে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। ভবন তৈরির অনিয়মের সঙ্গে যারাই জড়িত হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিএনসিসি’র কাঁচাবাজারটি পরিকল্পিত ভবন নয় এবং এখানে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা নির্মাণ করে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এখানে বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য ব্যবস্থা সেই অনুযায়ী নেই। এটা কিন্তু দীর্ঘদিনের জঞ্জাল। আমরা চেষ্টা করছি পূর্বাচল ঝিলমিলসহ নতুন যে শহরগুলো হচ্ছে সেখানে পরিকল্পনার বাইরে কোনো স্থাপনা না হতে দেওয়ার। এখানে স্থানীয় কিছু বিরোধ আছে। আপনারা জানেন আমরা চেষ্টা করছি তা দূর করে পরিকল্পিতভাবে সমন্বয় করার।”
মন্ত্রী বলেন, “আমাদের অতীতে অনেক তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু আমরা এবার সব তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে আনবো। কোথাও কোনো ভবন নিয়ে ত্রুটি থাকলে, অভিযোগে থাকলে আমাদের জানান। আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
শনিবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজার অংশে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও। তাদের যৌথ প্রচেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, ডিএনসিসির ওই মার্কেটে ২৫০টির বেশি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে পুরো কাঁচাবাজার এলাকার সব দোকান মারাত্মকভাবে পুড়েছে। সেখানে দোকানিরা তাদের শেষ সম্বলটুকু খুঁজছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এরপর অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে মার্কেটটি চালু করা হয়।