৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:২৯
আগারগাঁওয়ের এডিবি ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন
এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে গতিশীল অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৯ প্রকাশ করেছে এডিবি। সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।
এডিবি বলছে, ব্যাপক ভোগ চাহিদা ও সরকারি বিনিয়োগের কারণে এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে। এ ছাড়া রপ্তানি ‘পারফরম্যান্স’ প্রবৃদ্ধিতে বাড়তি অবদান রাখছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের এডিবি ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। আউটলুকের মূল অংশ তুলে ধরেন এডিবির সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সুন চান হং।
মনমোহন প্রকাশ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ হলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধির দেশ। আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে হবে। এ জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিমানবন্দর, সড়কের বড় অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
এডিবি আরো বলে, আট শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের পেছনে যেসব বিষয় কাজ করেছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- নির্বাচন পরবর্তী পরিবেশ শান্ত থাকা; রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধি, কর আদায়ে জোর দেওয়া, বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি, স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজমান।
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও বলেছে এডিবি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাংক খাতের আইনকানুন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন; করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে আরও সতর্কতা অবলম্বন; রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের একীভূত করা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:২৯

এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে গতিশীল অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৯ প্রকাশ করেছে এডিবি। সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।
এডিবি বলছে, ব্যাপক ভোগ চাহিদা ও সরকারি বিনিয়োগের কারণে এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে। এ ছাড়া রপ্তানি ‘পারফরম্যান্স’ প্রবৃদ্ধিতে বাড়তি অবদান রাখছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের এডিবি ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। আউটলুকের মূল অংশ তুলে ধরেন এডিবির সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সুন চান হং।
মনমোহন প্রকাশ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ হলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধির দেশ। আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে হবে। এ জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিমানবন্দর, সড়কের বড় অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
এডিবি আরো বলে, আট শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের পেছনে যেসব বিষয় কাজ করেছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- নির্বাচন পরবর্তী পরিবেশ শান্ত থাকা; রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধি, কর আদায়ে জোর দেওয়া, বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি, স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজমান।
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও বলেছে এডিবি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাংক খাতের আইনকানুন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন; করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে আরও সতর্কতা অবলম্বন; রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের একীভূত করা।