বিএড ছাড়াই মাদ্রাসায় কৃষি শিক্ষদের নিয়োগ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ২১:৪৮
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষক এমপিও নীতিমালায় মাদরাসার কৃষি বিষয়ের শিক্ষকদের ব্যাচেলর অব এডুকেশন(বিএড) ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) দেওয়া সুপারিশকৃত মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষকদের বিএড যোগ্যতা নেই। ফলে নিয়োগে বাধাপ্রাপ্ত হন তারা।
আর এই জটিলতা কাটাতে নীতিমালা সংশোধন করে তাদেরকে নিয়োগ দিতে সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষামন্ত্রণালয়। আর এরই প্রেক্ষিতে বিএড ছাড়াই বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে যোগদানের পথ খুলে দিয়েছে এনটিআরসিএ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর প্রকাশিত মাদরাসার এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর শর্তে বলা হয়, কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে বিএডসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসসি পাস বা সম্মান ডিগ্রি অথবা বিএডসহ কৃষি ডিপ্লোমা বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
কিন্তু একই সময়ে প্রকাশিত বেসরকারি স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালায় কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসসি পাস বা সম্মান ডিগ্রি অথবা কৃষি ডিপ্লোমা বা সমমানের ডিগ্রি থাকার কথা বলা থাকলেও বিএড ডিগ্রির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া বেসরকারি স্কুল ও মাদরাসার কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদের বেতন স্কেল একই। দুই পদের বেতনে গ্রেড ১০ হলেও নীতিমালায় যোগ্যতা ভিন্ন থাকায় প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। এরপর সুপারিশ পেয়েও মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষকরা নিয়োগে বাধাপ্রাপ্ত হন। ফলে বিষয়গুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তিনি সংশোধনে সম্মতি জানান। পরে নীতিমালাটি সংশোধন করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে একটি সুপারিশ ও প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। অনুমোদন পাওয়া গেলেই শর্ত শিথিলের জন্য জিও জারি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এইসব শিক্ষকরা এখন নিয়োগ পেলেও নিয়োগের পর দ্রুতই বিএড যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ২১:৪৮

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষক এমপিও নীতিমালায় মাদরাসার কৃষি বিষয়ের শিক্ষকদের ব্যাচেলর অব এডুকেশন(বিএড) ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) দেওয়া সুপারিশকৃত মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষকদের বিএড যোগ্যতা নেই। ফলে নিয়োগে বাধাপ্রাপ্ত হন তারা।
আর এই জটিলতা কাটাতে নীতিমালা সংশোধন করে তাদেরকে নিয়োগ দিতে সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষামন্ত্রণালয়। আর এরই প্রেক্ষিতে বিএড ছাড়াই বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে যোগদানের পথ খুলে দিয়েছে এনটিআরসিএ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর প্রকাশিত মাদরাসার এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর শর্তে বলা হয়, কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে বিএডসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসসি পাস বা সম্মান ডিগ্রি অথবা বিএডসহ কৃষি ডিপ্লোমা বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
কিন্তু একই সময়ে প্রকাশিত বেসরকারি স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালায় কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসসি পাস বা সম্মান ডিগ্রি অথবা কৃষি ডিপ্লোমা বা সমমানের ডিগ্রি থাকার কথা বলা থাকলেও বিএড ডিগ্রির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া বেসরকারি স্কুল ও মাদরাসার কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদের বেতন স্কেল একই। দুই পদের বেতনে গ্রেড ১০ হলেও নীতিমালায় যোগ্যতা ভিন্ন থাকায় প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। এরপর সুপারিশ পেয়েও মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষকরা নিয়োগে বাধাপ্রাপ্ত হন। ফলে বিষয়গুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তিনি সংশোধনে সম্মতি জানান। পরে নীতিমালাটি সংশোধন করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে একটি সুপারিশ ও প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। অনুমোদন পাওয়া গেলেই শর্ত শিথিলের জন্য জিও জারি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এইসব শিক্ষকরা এখন নিয়োগ পেলেও নিয়োগের পর দ্রুতই বিএড যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে।’