হাসপাতালে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা জানতে চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
বিশেষ প্রতিনিধি | ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:৩৯
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অগ্নি নির্বাপণে কি ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে তা জানতে চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোকে শিগগিরই অগ্নি নির্বাপণ মহড়া আয়োজনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আগামী ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কী ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে সেটাকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে ব্যাপারে একটা নির্দেশনা দিয়েছি। শিগগির অগ্নি মহড়া করতে বলেছি। অগ্নি নির্বাপণে যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে, সেগুলো পরীক্ষার জন্য বলেছি। যেগুলো সচল নয় সেগুলো লাগিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছি। নতুন ফায়ার ইস্টিংগুইশার দেব আমরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোর অগ্নি নির্বাপণে সক্ষমতা বাড়াতে আমরা একটা বড় পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে এটায় সময় লাগবে। সব হাসপাতালে আধুনিক ব্যবস্থা হিসেবে ফায়ার অ্যালার্ম, ধোঁয়া শনাক্তকরণসহ প্রয়োজনীয় সব যন্ত্র স্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোতে একটা ছোট্ট কর্ণার করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেখানে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার দেওয়া হবে। আমরা মা ও শিশুদের জন্য অটিস্টিকসহ বিভিন্ন কর্নার তৈরি করেছি। এখন শিশুদের জন্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ার নিশ্চিত করতে একটি ডেডিকেটেড কর্নার করতে চাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে (ইডিসিএল) একটি নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ওষুধ তৈরি হবে। ৭০০ কোটি টাকার এই প্ল্যান্ট শুরু হয়ে গেছে। সেখানে যক্ষ্মার ওষুধও তৈরি করা হবে। এ ওষুধ আমাদের দেশে তৈরি হয় না। কেউ করতেও চায় না। এটা ইমপোর্ট করে আনতে হয়।
যেসব কোম্পানি ভালো ওষুধ তৈরি করতে পারছে না ও ব্যবস্থাপনা নেই, এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দেশে অসংক্রামক ব্যাধি বেড়ে যাচ্ছে। প্রায় ৬৫ শতাংশ লোক অসংক্রামক ব্যাধিতে মারা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানসার, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও কিডনি ফেইলর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড। বিভিন্ন জায়গায় আগুনে পুড়ে লোক মারা যাচ্ছে। আমাদের সেবা দেওয়া ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।
আগামী রোববার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামী রোববার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘সমতা ও সংহতি নির্ভর সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা’। ওইদিন সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়ভাবে দিবসটি উদ্বোধন করা হবে। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বিশেষ প্রতিনিধি | ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:৩৯

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অগ্নি নির্বাপণে কি ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে তা জানতে চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোকে শিগগিরই অগ্নি নির্বাপণ মহড়া আয়োজনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আগামী ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কী ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে সেটাকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে ব্যাপারে একটা নির্দেশনা দিয়েছি। শিগগির অগ্নি মহড়া করতে বলেছি। অগ্নি নির্বাপণে যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে, সেগুলো পরীক্ষার জন্য বলেছি। যেগুলো সচল নয় সেগুলো লাগিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছি। নতুন ফায়ার ইস্টিংগুইশার দেব আমরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোর অগ্নি নির্বাপণে সক্ষমতা বাড়াতে আমরা একটা বড় পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে এটায় সময় লাগবে। সব হাসপাতালে আধুনিক ব্যবস্থা হিসেবে ফায়ার অ্যালার্ম, ধোঁয়া শনাক্তকরণসহ প্রয়োজনীয় সব যন্ত্র স্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোতে একটা ছোট্ট কর্ণার করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেখানে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার দেওয়া হবে। আমরা মা ও শিশুদের জন্য অটিস্টিকসহ বিভিন্ন কর্নার তৈরি করেছি। এখন শিশুদের জন্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ার নিশ্চিত করতে একটি ডেডিকেটেড কর্নার করতে চাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে (ইডিসিএল) একটি নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ওষুধ তৈরি হবে। ৭০০ কোটি টাকার এই প্ল্যান্ট শুরু হয়ে গেছে। সেখানে যক্ষ্মার ওষুধও তৈরি করা হবে। এ ওষুধ আমাদের দেশে তৈরি হয় না। কেউ করতেও চায় না। এটা ইমপোর্ট করে আনতে হয়।
যেসব কোম্পানি ভালো ওষুধ তৈরি করতে পারছে না ও ব্যবস্থাপনা নেই, এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দেশে অসংক্রামক ব্যাধি বেড়ে যাচ্ছে। প্রায় ৬৫ শতাংশ লোক অসংক্রামক ব্যাধিতে মারা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানসার, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও কিডনি ফেইলর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড। বিভিন্ন জায়গায় আগুনে পুড়ে লোক মারা যাচ্ছে। আমাদের সেবা দেওয়া ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।
আগামী রোববার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামী রোববার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘সমতা ও সংহতি নির্ভর সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা’। ওইদিন সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়ভাবে দিবসটি উদ্বোধন করা হবে। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি।