সেলফি না তুলে কয়েক বালতি পানি নিয়ে আসুক: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ এপ্রিল, ২০১৯ ২১:৫৫
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনানীর অগ্নিকাণ্ডের সময় ছবি তোলার সমালোচনা করে বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে এমনটা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগুন লেগেছে দুনিয়ার লোক সেখানে গিয়ে হাজির। ফায়ার সার্ভিস ঢুকতে পারে না। মানুষ যেতে পারে না। এটা কোন ধরনের একটা ব্যাপার। সবাই দেখতে যায়, সেলফি তুলে, ছবি তোলে, এখানে সেলফি তোলার কী হলো এটা আমি বুঝত পারি না। সেলফি না তুলে কয়েক বালতি পানি নিয়ে আসুক। বা আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা করুক। উদ্ধারের কাজ করুক। সেলফি তোলে, কী আনন্দ! সত্যি এটা আমার কাছে খুব অবাক লাগে। বাংলাদেশের মানুষের এই মানসিকতাটা পরিবর্তন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ফায়ার সার্ভিস যখন অগ্নিনির্বাপণে যায় আমাদের কিছু লোক খামাখা উত্তেজিত হয়ে সেই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মারে। একটা গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে। প্রায় ৯/১০ কোটি টাকার গাড়ি। সেই গাড়ির ওপর হামলা করে গাড়ি ভেঙেছে। দেরি হচ্ছে কেন, তাকে মারছে। তাকে না মেরে অন্তত এক বালতি পানি নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করত বা কীভাবে উদ্ধার কাজ করা যায় সেই চেষ্টা করত, তবে তারা একটা ভালো কাজ করেছে বলে আমরা বিবেচনা করতাম। কিন্তু যারা উদ্ধার করতে যায় তাদের বাধা দেওয়া, তাদের ওপর হামলা করা এটা কোন ধরনের কথা?
এ সময় তিনি সাধুবাদ জানান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসায়। তিনি বলেন, তারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছে, ফায়ার সার্ভিসকে রাস্তা করে দিয়েছে। মানুষ সব সময় দায়িত্বশীল আচরণ করবে এটাই আমরা চাই।
এসব সময় মিডিয়ারও ভূমিকা আছে দাবি করে তিনি বলেন, মিডিয়াতে যখন দেখায় মানুষ আরো বেশি আকর্ষণ হয় আরো বেশি ছুটে যেতে চায়। সেখানে মিডিয়ার একটা ভূমিকা রয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ এপ্রিল, ২০১৯ ২১:৫৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনানীর অগ্নিকাণ্ডের সময় ছবি তোলার সমালোচনা করে বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে এমনটা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগুন লেগেছে দুনিয়ার লোক সেখানে গিয়ে হাজির। ফায়ার সার্ভিস ঢুকতে পারে না। মানুষ যেতে পারে না। এটা কোন ধরনের একটা ব্যাপার। সবাই দেখতে যায়, সেলফি তুলে, ছবি তোলে, এখানে সেলফি তোলার কী হলো এটা আমি বুঝত পারি না। সেলফি না তুলে কয়েক বালতি পানি নিয়ে আসুক। বা আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা করুক। উদ্ধারের কাজ করুক। সেলফি তোলে, কী আনন্দ! সত্যি এটা আমার কাছে খুব অবাক লাগে। বাংলাদেশের মানুষের এই মানসিকতাটা পরিবর্তন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ফায়ার সার্ভিস যখন অগ্নিনির্বাপণে যায় আমাদের কিছু লোক খামাখা উত্তেজিত হয়ে সেই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মারে। একটা গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে। প্রায় ৯/১০ কোটি টাকার গাড়ি। সেই গাড়ির ওপর হামলা করে গাড়ি ভেঙেছে। দেরি হচ্ছে কেন, তাকে মারছে। তাকে না মেরে অন্তত এক বালতি পানি নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করত বা কীভাবে উদ্ধার কাজ করা যায় সেই চেষ্টা করত, তবে তারা একটা ভালো কাজ করেছে বলে আমরা বিবেচনা করতাম। কিন্তু যারা উদ্ধার করতে যায় তাদের বাধা দেওয়া, তাদের ওপর হামলা করা এটা কোন ধরনের কথা?
এ সময় তিনি সাধুবাদ জানান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসায়। তিনি বলেন, তারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছে, ফায়ার সার্ভিসকে রাস্তা করে দিয়েছে। মানুষ সব সময় দায়িত্বশীল আচরণ করবে এটাই আমরা চাই। এসব সময় মিডিয়ারও ভূমিকা আছে দাবি করে তিনি বলেন, মিডিয়াতে যখন দেখায় মানুষ আরো বেশি আকর্ষণ হয় আরো বেশি ছুটে যেতে চায়। সেখানে মিডিয়ার একটা ভূমিকা রয়েছে।