মুন্সীগঞ্জে নিজ গ্রামে সমাহিত হবেন টেলি সামাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ এপ্রিল, ২০১৯ ১৫:৫৬
অভিনেতা টেলি সামাদ সমাহিত হবেন মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে। প্রাথমিকভাবে এমনটা ঠিক হয়েছে জানালেন প্রয়াতের ভাগনে ফাহিম আহমেদ।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার তিনি দেশ রূপান্তরকে জানান, স্কয়ার হাসপাতাল থেকে পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সেখানে বাদ মাগরিব অথবা এশায় জানাজা হবে। এরপর মরদেহ মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে দাফন করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটাই ঠিক করা হয়েছে।
ফাহিম আরও জানান, এফডিসি থেকে কেউ এখনো যোগাযোগ করা হয়নি। যদি তারা যোগাযোগ করেন তবে এফডিসিতে মরদেহ নেওয়া হতে পারে।
এ অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস করেন।
গত ডিসেম্বরে টেলি সামাদের শরীরে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। এর আগে কয়েক দফায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সর্বশেষ ৪ এপ্রিল স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। কামাল পাশার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
স্ত্রী নিগার সুলতানা, দুই মেয়ে সোহেলা ও সায়মা এবং এক ছেলে সুমনকে রেখে গেছেন টেলি সামাদ।
তার মূল নাম আবদুস সামাদ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মোস্তফা মামুন নাম বদলে টেলি সামাদ রাখার কথা বলেন। সেই থেকেই তিনি টেলি সামাদ নামে পরিচিতি।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন ৭৪ বছর বয়সী টেলি সামাদ। বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি হন।
১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন টেলি সামাদ। বড় ভাই বিখ্যাত চারুশিল্পী আব্দুল হাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সংগীতেও রয়েছে এই গুণী অভিনেতার পারদর্শিতা। ‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
টেলি সামাদ ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। চার দশকে প্রায় ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে তার অভিনীত সর্বশেষ ছবি মুক্তি পায় ‘জিরো ডিগ্রী’।
উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সুজন সখী, মায়ের চোখ, মন বসে না পড়ার টেবিলে, কাজের মানুষ, মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, মিস লোলিতা, নতুন বউ, মাটির ঘর, নাগরদোলা, গোলাপী এখন ট্রেনে, অশিক্ষিত, গুন্ডা, চাষীর মেয়ে, রঙিন রূপবান ও ভাত দে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ এপ্রিল, ২০১৯ ১৫:৫৬

অভিনেতা টেলি সামাদ সমাহিত হবেন মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে। প্রাথমিকভাবে এমনটা ঠিক হয়েছে জানালেন প্রয়াতের ভাগনে ফাহিম আহমেদ।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার তিনি দেশ রূপান্তরকে জানান, স্কয়ার হাসপাতাল থেকে পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সেখানে বাদ মাগরিব অথবা এশায় জানাজা হবে। এরপর মরদেহ মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে দাফন করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটাই ঠিক করা হয়েছে।
ফাহিম আরও জানান, এফডিসি থেকে কেউ এখনো যোগাযোগ করা হয়নি। যদি তারা যোগাযোগ করেন তবে এফডিসিতে মরদেহ নেওয়া হতে পারে।
এ অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস করেন।
গত ডিসেম্বরে টেলি সামাদের শরীরে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। এর আগে কয়েক দফায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সর্বশেষ ৪ এপ্রিল স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। কামাল পাশার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
স্ত্রী নিগার সুলতানা, দুই মেয়ে সোহেলা ও সায়মা এবং এক ছেলে সুমনকে রেখে গেছেন টেলি সামাদ।
তার মূল নাম আবদুস সামাদ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মোস্তফা মামুন নাম বদলে টেলি সামাদ রাখার কথা বলেন। সেই থেকেই তিনি টেলি সামাদ নামে পরিচিতি।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন ৭৪ বছর বয়সী টেলি সামাদ। বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি হন।
১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন টেলি সামাদ। বড় ভাই বিখ্যাত চারুশিল্পী আব্দুল হাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সংগীতেও রয়েছে এই গুণী অভিনেতার পারদর্শিতা। ‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
টেলি সামাদ ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। চার দশকে প্রায় ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে তার অভিনীত সর্বশেষ ছবি মুক্তি পায় ‘জিরো ডিগ্রী’।
উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সুজন সখী, মায়ের চোখ, মন বসে না পড়ার টেবিলে, কাজের মানুষ, মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, মিস লোলিতা, নতুন বউ, মাটির ঘর, নাগরদোলা, গোলাপী এখন ট্রেনে, অশিক্ষিত, গুন্ডা, চাষীর মেয়ে, রঙিন রূপবান ও ভাত দে।