সতর্কতা জারি যুক্তরাষ্ট্রের প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ এপ্রিল, ২০১৯ ২১:৪৮
বর্তমানে বিদেশি নাগরিকদের চলাফেরায় কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘অ্যালার্ট (সতর্কতা জারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অ্যালার্ট দেওয়ার মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি। এত চমৎকার পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা সন্তুষ্ট না, বুঝতে পারছি না’।
রবিবার সকালে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম: সার্ক পারস্পেকটিভ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দুই সপ্তাহব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মালদ্বীপ ও ভুটানের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। ৩ দেশের ৬ জন ও বাংলাদেশের ১৪ জনসহ মোট ২০ জন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণ নেবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ স্টাফ কলেজের রৌশন আরা বেগমসহ অতিরিক্ত আইজিপি, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি না কী কারণে তারা অ্যালার্ট দিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, তাদের কিছু জানা থাকলে, তথ্য থাকলে আমাদের দিক, আমরা ব্যবস্থা নিব।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ধরনের আবেদন আমাদের কাছে আসেনি। তিনি যদি আবেদন করেন তাহলে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। এ ক্ষেত্রে আইনি কোনো জটিলতা থাকলে তা জানাব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ৯ এপ্রিল পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে ৬১৪ জন চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করবেন। কৃতকর্মের জন্য তারা লজ্জা প্রকাশ করে তারা ভালোর পথে আসবেন বলে আবেদন করেছেন। তার ভিত্তিতেই আত্মসমর্পণের ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনের মাধ্যমে সার্ক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সার্কের সদস্য দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। এই ধরনের প্রশিক্ষণ আন্তঃরাষ্ট্রীয় বন্ধন, সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ স্টাফ কলেজ পেশাদার ও দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ ও এর সুদূর প্রসারী প্রভাব এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য হুমকি হতে পারে। সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোকে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সন্ত্রাস দমনে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সার্ক দেশসমূহের মধ্যে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সন্ত্রাস, মানবপাচার, অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ সরকার আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ তথা সন্ত্রাসবাদ, মানব পাচার, উগ্রবাদ ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সভাপতির বক্তব্যে রৌশন আরা বেগম সার্কভুক্ত দেশসমূহের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রশিক্ষণার্থী প্রেরণের জন্য সার্কভুক্ত দেশসমূহের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ এপ্রিল, ২০১৯ ২১:৪৮

বর্তমানে বিদেশি নাগরিকদের চলাফেরায় কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘অ্যালার্ট (সতর্কতা জারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অ্যালার্ট দেওয়ার মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি। এত চমৎকার পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা সন্তুষ্ট না, বুঝতে পারছি না’।
রবিবার সকালে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম: সার্ক পারস্পেকটিভ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দুই সপ্তাহব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মালদ্বীপ ও ভুটানের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। ৩ দেশের ৬ জন ও বাংলাদেশের ১৪ জনসহ মোট ২০ জন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণ নেবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ স্টাফ কলেজের রৌশন আরা বেগমসহ অতিরিক্ত আইজিপি, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি না কী কারণে তারা অ্যালার্ট দিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, তাদের কিছু জানা থাকলে, তথ্য থাকলে আমাদের দিক, আমরা ব্যবস্থা নিব।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ধরনের আবেদন আমাদের কাছে আসেনি। তিনি যদি আবেদন করেন তাহলে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। এ ক্ষেত্রে আইনি কোনো জটিলতা থাকলে তা জানাব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ৯ এপ্রিল পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে ৬১৪ জন চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করবেন। কৃতকর্মের জন্য তারা লজ্জা প্রকাশ করে তারা ভালোর পথে আসবেন বলে আবেদন করেছেন। তার ভিত্তিতেই আত্মসমর্পণের ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনের মাধ্যমে সার্ক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সার্কের সদস্য দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। এই ধরনের প্রশিক্ষণ আন্তঃরাষ্ট্রীয় বন্ধন, সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ স্টাফ কলেজ পেশাদার ও দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ ও এর সুদূর প্রসারী প্রভাব এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য হুমকি হতে পারে। সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোকে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সন্ত্রাস দমনে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সার্ক দেশসমূহের মধ্যে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সন্ত্রাস, মানবপাচার, অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ সরকার আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ তথা সন্ত্রাসবাদ, মানব পাচার, উগ্রবাদ ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সভাপতির বক্তব্যে রৌশন আরা বেগম সার্কভুক্ত দেশসমূহের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রশিক্ষণার্থী প্রেরণের জন্য সার্কভুক্ত দেশসমূহের প্রতি ধন্যবাদ জানান।