ভূমিকম্পের ২ মিনিট আগেই সতর্ক হবে ঢাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ এপ্রিল, ২০১৯ ১৮:২৮
সিলেটে ভূমিকম্পন তৈরি হলে সেখান থেকে দুই মিনিট পর ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, এই দুই মিনিটের মধ্যে সতর্ক করা গেলে ঢাকা বা আশেপাশের মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন। সচিবালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর আলোচনাকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, সিলেটের ডাউকি চ্যুতি এলাকায় ভূমিকম্পন তৈরি হলে সেখান থেকে দুই মিনিট পর ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে আটটি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে সিলেটের হাফলং চ্যুতির ডাউকি চ্যুতি অন্যতম। এসব চ্যুতির কারণে ভূমিকম্প হয়।
তিনি বলেন, ডাউকিতে ভূমিকম্প প্লেট যদি নাড়া দেয় তাহলে দুই মিনিট পর আমাদের এখানে (ঢাকা) আসবে। এই দুই মিনিট সময়ে যদি ওখান থেকে সিগন্যাল পাই আমরা পুরোটা খালি করতে পারব। ঢাকা শহরের কোনো লোকের তখন ঘরে থাকার দরকার নাই, সব রাস্তায় চলে যাবে, মাঠে চলে যাবে, এটা সম্ভব। দুই মিনিট সময় দিতে হবে। কিন্তু সিগন্যালটা আসতে হবে। সিগন্যাল পাওয়ার জন্য এরকম প্রযুক্তি আছে।
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ধরেন, ওখানে ১২টায় শুরু হলো এখানে পৌঁছতে পৌঁছতে দুই মিনিট লাগবে। এটা জিওগ্রাফিক্যাল কারণে। এই দুই মিনিটের সময় যদি আমরা পাই তাহলে ঢাকা শহর বা যারা যারা আশেপাশে এখানে আছে এদের সতর্ক করা যাবে এবং সরে যেতে পারবে।
সচিবালয়ের ভবনগুলোতে আগুনের ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সচিব শফিউল আলম বলেন, সচিবালয়ের ভবন-১ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকায় সেখানে থাকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অন্য আরেকটি ভবনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
‘সচিবালয়ের ভবনগুলোর ভূমিকম্প ও অন্যান্য ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করব’।
তিনি আরো বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে একটি ২০তলা ভবন নির্মাণের নকশা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
‘ভবনটিকে সব ধরনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে তাতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশে যত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার ৩৯ শতাংশের সূত্রপাত হয়েছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে।
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৬ জনের জীবন কেড়ে নেয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদামে আগুন লেগে ৭১ জন প্রাণ হারান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ এপ্রিল, ২০১৯ ১৮:২৮

সিলেটে ভূমিকম্পন তৈরি হলে সেখান থেকে দুই মিনিট পর ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, এই দুই মিনিটের মধ্যে সতর্ক করা গেলে ঢাকা বা আশেপাশের মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন। সচিবালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর আলোচনাকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, সিলেটের ডাউকি চ্যুতি এলাকায় ভূমিকম্পন তৈরি হলে সেখান থেকে দুই মিনিট পর ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে আটটি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে সিলেটের হাফলং চ্যুতির ডাউকি চ্যুতি অন্যতম। এসব চ্যুতির কারণে ভূমিকম্প হয়।
তিনি বলেন, ডাউকিতে ভূমিকম্প প্লেট যদি নাড়া দেয় তাহলে দুই মিনিট পর আমাদের এখানে (ঢাকা) আসবে। এই দুই মিনিট সময়ে যদি ওখান থেকে সিগন্যাল পাই আমরা পুরোটা খালি করতে পারব। ঢাকা শহরের কোনো লোকের তখন ঘরে থাকার দরকার নাই, সব রাস্তায় চলে যাবে, মাঠে চলে যাবে, এটা সম্ভব। দুই মিনিট সময় দিতে হবে। কিন্তু সিগন্যালটা আসতে হবে। সিগন্যাল পাওয়ার জন্য এরকম প্রযুক্তি আছে।
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ধরেন, ওখানে ১২টায় শুরু হলো এখানে পৌঁছতে পৌঁছতে দুই মিনিট লাগবে। এটা জিওগ্রাফিক্যাল কারণে। এই দুই মিনিটের সময় যদি আমরা পাই তাহলে ঢাকা শহর বা যারা যারা আশেপাশে এখানে আছে এদের সতর্ক করা যাবে এবং সরে যেতে পারবে।
সচিবালয়ের ভবনগুলোতে আগুনের ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সচিব শফিউল আলম বলেন, সচিবালয়ের ভবন-১ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকায় সেখানে থাকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অন্য আরেকটি ভবনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
‘সচিবালয়ের ভবনগুলোর ভূমিকম্প ও অন্যান্য ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করব’।
তিনি আরো বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে একটি ২০তলা ভবন নির্মাণের নকশা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
‘ভবনটিকে সব ধরনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে তাতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশে যত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার ৩৯ শতাংশের সূত্রপাত হয়েছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে।
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৬ জনের জীবন কেড়ে নেয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদামে আগুন লেগে ৭১ জন প্রাণ হারান।