রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সেফ জোন’ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ১৬:০২
ছবি: বাসস
মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তদারকিতে ‘সেফ জোন’ তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে সোমবার এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ সমর্থন চান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুজনই দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং এজন্য মিয়ানমারের ওপর বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানো, ইন্দো-প্যাসেফিক ভিশনে অংশীদারিত্ব, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ এবং বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে কোনো ধরনের ভয়ভীতি এবং নিপীড়নের শঙ্কামুক্ত হয়ে অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। মিয়ানমারের সরকার এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্ব সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যাতে রোহিঙ্গারা বাড়ি ফিরে যেতে নিরাপদ বোধ করে।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান পেতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা প্রদর্শন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেন তিনি।
এসময় নিজস্ব ব্যয়ে রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে আবাসন তৈরির বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন এ কে মোমেন। জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা এবং বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করে সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে।
এসময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তদারকিতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সেফ জোন’ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ১৬:০২

মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তদারকিতে ‘সেফ জোন’ তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে সোমবার এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ সমর্থন চান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুজনই দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং এজন্য মিয়ানমারের ওপর বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানো, ইন্দো-প্যাসেফিক ভিশনে অংশীদারিত্ব, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ এবং বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে কোনো ধরনের ভয়ভীতি এবং নিপীড়নের শঙ্কামুক্ত হয়ে অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। মিয়ানমারের সরকার এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্ব সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যাতে রোহিঙ্গারা বাড়ি ফিরে যেতে নিরাপদ বোধ করে।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান পেতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা প্রদর্শন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেন তিনি।
এসময় নিজস্ব ব্যয়ে রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে আবাসন তৈরির বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন এ কে মোমেন। জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা এবং বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করে সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে।
এসময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তদারকিতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সেফ জোন’ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চান তিনি।