আমরা কারো কাছ থেকে পিছিয়ে থাকব না: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:৩১
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অধিকতর গবেষণার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা কারো কাছ থেকে পিছিয়ে থাকব না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি জারা এখানে বিজ্ঞানী ও গবেষক আছেন আরো ভালো করে গবেষণা করুন যাতে আরো কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশি উৎকর্ষ লাভ করতে পারে।’
তিনি বলেন, 'কোথায় কোথায় আমাদের আরো বেশি বিনিয়োগ দরকার সেভাবেই আমাদের দেশের জলবায়ু, মাটি, পানি সবকিছু নিয়ে আপনাদের কাজ। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাই কাজ করবেন সেটাই আমি চাই। কারণ বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলব সেটাই আমাদের লক্ষ্য’।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারো কাছ থেকে পিছিয়ে থাকব না সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কারণ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। তাদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে হবে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান থেকে নিয়ে সর্বক্ষেত্রে আমি মনে করি গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবক্ষেত্রে গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ। গবেষণার মধ্য দিয়েই সমাজকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।’
তিনি বলেন, 'আল্লাহর রহমতে এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ'।
অর্থনৈতিকভাবেও আমরা যথেষ্ট স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কাজেই আমাদের দেশে আরো বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষক তৈরি হোক সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করছি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ ফ ম রুহুল হক।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষকদের মাঝে গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে ও সব কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক মেধাবী। কাজেই তারা পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং থাকবেও না। সেই সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৩ সালে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন,তার সরকারও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানভিত্তিক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর।
দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে টেকসই করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র গবেষণাই দিতে পারে আমাদের সেই পথ। ’
তিনি বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সমগ্র বিশ্বে যে স্বীকৃতি আমরা আদায় করেছি সেই পথ ধরেই ২০২০ সালে যেমন আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করব ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করব। এ দেশে আর তখন হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না।
তিনি বলেন, তার সরকার সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ১০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনার উল্লেখ করে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় ‘ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়নেও সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা জলবায়ু পরিবর্তন- এর প্রভাবে বাংলাদেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, বাংলাদেশের জনগণ যেন উন্নত জীবন পায় এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। শতবর্ষ পর আমাদের যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম আসবে তাঁদের জীবনযাত্রার মান কেমন হবে সেটা মাথায় রেখেই আমাদের এই পরিকল্পনা।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:৩১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অধিকতর গবেষণার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা কারো কাছ থেকে পিছিয়ে থাকব না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি জারা এখানে বিজ্ঞানী ও গবেষক আছেন আরো ভালো করে গবেষণা করুন যাতে আরো কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশি উৎকর্ষ লাভ করতে পারে।’
তিনি বলেন, 'কোথায় কোথায় আমাদের আরো বেশি বিনিয়োগ দরকার সেভাবেই আমাদের দেশের জলবায়ু, মাটি, পানি সবকিছু নিয়ে আপনাদের কাজ। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাই কাজ করবেন সেটাই আমি চাই। কারণ বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলব সেটাই আমাদের লক্ষ্য’।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারো কাছ থেকে পিছিয়ে থাকব না সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কারণ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। তাদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে হবে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান থেকে নিয়ে সর্বক্ষেত্রে আমি মনে করি গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবক্ষেত্রে গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ। গবেষণার মধ্য দিয়েই সমাজকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।’
তিনি বলেন, 'আল্লাহর রহমতে এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ'।
অর্থনৈতিকভাবেও আমরা যথেষ্ট স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কাজেই আমাদের দেশে আরো বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষক তৈরি হোক সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করছি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ ফ ম রুহুল হক।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষকদের মাঝে গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে ও সব কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক মেধাবী। কাজেই তারা পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং থাকবেও না। সেই সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৩ সালে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন,তার সরকারও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানভিত্তিক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর।
দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে টেকসই করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র গবেষণাই দিতে পারে আমাদের সেই পথ। ’
তিনি বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সমগ্র বিশ্বে যে স্বীকৃতি আমরা আদায় করেছি সেই পথ ধরেই ২০২০ সালে যেমন আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করব ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করব। এ দেশে আর তখন হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না।
তিনি বলেন, তার সরকার সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ১০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনার উল্লেখ করে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় ‘ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়নেও সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা জলবায়ু পরিবর্তন- এর প্রভাবে বাংলাদেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, বাংলাদেশের জনগণ যেন উন্নত জীবন পায় এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। শতবর্ষ পর আমাদের যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম আসবে তাঁদের জীবনযাত্রার মান কেমন হবে সেটা মাথায় রেখেই আমাদের এই পরিকল্পনা।’