বিদেশ ভ্রমণে জ্ঞান বাড়ে, কিন্তু কাজে আসে না: কৃষিমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি | ১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:৫৫
মোটিভেশনাল ১০০ টি ট্যুরের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘এসব ভ্রমণের দ্বারা নলেজ হয়, জ্ঞান বাড়ে। কিন্তু সেগুলো আসল ক্ষেত্রে কাজে লাগে না’।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে আমাদের উৎপাদনের ক্ষেত্র বড় করতে হবে। আমরা ৩০ হাজার কোটি টাকার তেল আমদানি করি। ডাল, তেল ও মসলার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
একই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। এ জন্য যান্ত্রিকীকরণের দিকে নজর দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় তার জন্য বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্যও কাজ করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের দেশ ও দেশের বাইরে মোটিভেশনাল ১০০টি ট্যুরের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এসব ভ্রমণের দ্বারা নলেজ হয়, জ্ঞান বাড়ে। কিন্তু সেগুলো আসল ক্ষেত্রে কাজে লাগে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, তেল ব্যবহারে আমরা বিশ্বে ৮ম এবং আমদানিতে ৩য়। তিনি মনে করেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডাল, তেল ও মসলা ফসলের আমদানি ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক ড. আব্দুল মুঈদ, প্রকল্পের মূল পরিচালক খায়রুল আলম প্রিন্স প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বিশেষ প্রতিনিধি | ১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:৫৫

মোটিভেশনাল ১০০ টি ট্যুরের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘এসব ভ্রমণের দ্বারা নলেজ হয়, জ্ঞান বাড়ে। কিন্তু সেগুলো আসল ক্ষেত্রে কাজে লাগে না’।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে আমাদের উৎপাদনের ক্ষেত্র বড় করতে হবে। আমরা ৩০ হাজার কোটি টাকার তেল আমদানি করি। ডাল, তেল ও মসলার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
একই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। এ জন্য যান্ত্রিকীকরণের দিকে নজর দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় তার জন্য বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্যও কাজ করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের দেশ ও দেশের বাইরে মোটিভেশনাল ১০০টি ট্যুরের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এসব ভ্রমণের দ্বারা নলেজ হয়, জ্ঞান বাড়ে। কিন্তু সেগুলো আসল ক্ষেত্রে কাজে লাগে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, তেল ব্যবহারে আমরা বিশ্বে ৮ম এবং আমদানিতে ৩য়। তিনি মনে করেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডাল, তেল ও মসলা ফসলের আমদানি ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক ড. আব্দুল মুঈদ, প্রকল্পের মূল পরিচালক খায়রুল আলম প্রিন্স প্রমুখ।