সরকারের আশ্বাসে নৌ-ধর্মঘট স্থগিত, সচল সদরঘাট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:১১
নির্ধারিত কাঠামোয় বেতন দেওয়াসহ ১১ টি দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে সারা দেশে নৌ-ধর্মঘট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার সকাল থেকেই সরব ছিল সদরঘাট। সময়মতো সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায় বিভিন্ন রুটের লঞ্চ ও স্টিমার।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত অবধি এই ধর্মঘট চলে। পরে রাতে শ্রম অধিদপ্তরে মালিক, শ্রমিক ও সরকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে ধর্মঘট চলাকালে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। ব্যবসায়ীরাও পড়েন বিপাকে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে ঢাকা সদরঘাটের চিত্র স্বাভাবিক ছিল। পন্টুনে লঞ্চ ভিড়েছে। যাত্রীরাও এসেছেন।
মিতালী লঞ্চের মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। সবাই লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার রাতে শ্রম অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। দীর্ঘ বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, শ্রমিকদের সাতটি দাবি ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ‘ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে’ সমাধান করতে হবে। বাকি চারটি দাবির বিষয়ে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হবে।
যাত্রীবাহী লঞ্চের কর্মীদের জন্য ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন কাঠামোর পূর্ণ বাস্তবায়ন, সব শ্রমিকদের বিনা পয়সায় খাবারের ব্যবস্থা করা অথবা খাদ্যভাতা দেওয়া, কর্মস্থলে কিংবা দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শ্রমিকদের ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, প্রত্যেক নৌশ্রমিককে নিয়োগপত্র দেওয়া, মাস্টার পরীক্ষার সনদ দেওয়া ও নবায়নে অনিয়ম বন্ধ করা, বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ করা, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও বয়া-বাতি স্থাপনসহ ১১ দফা দাবিতে এই ধর্মঘট করে নৌ যান শ্রমিকরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:১১

নির্ধারিত কাঠামোয় বেতন দেওয়াসহ ১১ টি দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে সারা দেশে নৌ-ধর্মঘট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার সকাল থেকেই সরব ছিল সদরঘাট। সময়মতো সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায় বিভিন্ন রুটের লঞ্চ ও স্টিমার।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত অবধি এই ধর্মঘট চলে। পরে রাতে শ্রম অধিদপ্তরে মালিক, শ্রমিক ও সরকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে ধর্মঘট চলাকালে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। ব্যবসায়ীরাও পড়েন বিপাকে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে ঢাকা সদরঘাটের চিত্র স্বাভাবিক ছিল। পন্টুনে লঞ্চ ভিড়েছে। যাত্রীরাও এসেছেন।
মিতালী লঞ্চের মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। সবাই লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার রাতে শ্রম অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। দীর্ঘ বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, শ্রমিকদের সাতটি দাবি ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ‘ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে’ সমাধান করতে হবে। বাকি চারটি দাবির বিষয়ে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হবে।
যাত্রীবাহী লঞ্চের কর্মীদের জন্য ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন কাঠামোর পূর্ণ বাস্তবায়ন, সব শ্রমিকদের বিনা পয়সায় খাবারের ব্যবস্থা করা অথবা খাদ্যভাতা দেওয়া, কর্মস্থলে কিংবা দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শ্রমিকদের ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, প্রত্যেক নৌশ্রমিককে নিয়োগপত্র দেওয়া, মাস্টার পরীক্ষার সনদ দেওয়া ও নবায়নে অনিয়ম বন্ধ করা, বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ করা, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও বয়া-বাতি স্থাপনসহ ১১ দফা দাবিতে এই ধর্মঘট করে নৌ যান শ্রমিকরা।