অভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ব্রুনাইয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ এপ্রিল, ২০১৯ ২৩:২৯
বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মূল্যবোধ, ধর্ম, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং অনেক অভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
সোমবার ব্রুনাইয়ের সরকারি বাসভবন ইসতানা নূরুল ইমানে রয়্যাল ব্যাংকুয়েট হলে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেয়া এক ভোজ সভায় যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। খবর,বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, এই মহান দেশটি সফর করা তার জন্য ছিল একটি বিশাল উপহার। এ কথা সত্য, এটি একটি শান্তির আবাস ভূমি। যেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শত শত বছরের ঐতিহ্য আধুনিকতাকেও হার মানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে ব্রুনাইয়ে তার সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, সে সময়ে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ব্রুনাইয়ে সপরিবারে বসবাস করতেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে তিনি ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের আবাসিক মিশন পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ঢাকায় আবাসিক মিশন করায় ব্রুনাইয়ের সুলতানকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক সেক্টরে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ আমাদের ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশের মর্যাদা লাভের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এক সঙ্গে কাজ করতে উভয় দেশই সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ব্যবসায়িক ফোরামে যোগ দেয়ার বিষয়টিতে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠকে সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে আলোচনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান আলহাজ হাসানাল বোলকিয়াকে তার ম্যাজেস্টি দুলি রাজা ইসতেরিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ এপ্রিল, ২০১৯ ২৩:২৯

বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মূল্যবোধ, ধর্ম, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং অনেক অভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
সোমবার ব্রুনাইয়ের সরকারি বাসভবন ইসতানা নূরুল ইমানে রয়্যাল ব্যাংকুয়েট হলে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেয়া এক ভোজ সভায় যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। খবর,বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, এই মহান দেশটি সফর করা তার জন্য ছিল একটি বিশাল উপহার। এ কথা সত্য, এটি একটি শান্তির আবাস ভূমি। যেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শত শত বছরের ঐতিহ্য আধুনিকতাকেও হার মানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে ব্রুনাইয়ে তার সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, সে সময়ে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ব্রুনাইয়ে সপরিবারে বসবাস করতেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে তিনি ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের আবাসিক মিশন পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ঢাকায় আবাসিক মিশন করায় ব্রুনাইয়ের সুলতানকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক সেক্টরে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ আমাদের ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশের মর্যাদা লাভের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এক সঙ্গে কাজ করতে উভয় দেশই সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ব্যবসায়িক ফোরামে যোগ দেয়ার বিষয়টিতে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠকে সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে আলোচনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান আলহাজ হাসানাল বোলকিয়াকে তার ম্যাজেস্টি দুলি রাজা ইসতেরিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানান।