গতিপথ পাল্টে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ‘ফণি’
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ ১০:১৯
ছবি: সাইক্লোকেইন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র সম্ভাব্য গতিপথ নিয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আন্তর্জাতিক ঘূর্ণিঝড় পর্যবেক্ষণ সাইটগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, শেষ মুহূর্তে গতিপথ পাল্টে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
সাইক্লোকেইন ওয়েবসাইটের ঘূর্ণিঝড় চিত্রে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে গতিপথ পাল্টে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ‘ফণি’।
ভারতের আবহাওয়া অফিস প্রকাশিত ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথের চিত্রেও দেখা যায়, অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোনোর পর গতিপথ পাল্টাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ২৪ ঘণ্টা ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
অন্যদিকে আবহাওয়ার ছয় নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০২ (দুই) নম্বর (পুনঃ) ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ ১০:১৯
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র সম্ভাব্য গতিপথ নিয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আন্তর্জাতিক ঘূর্ণিঝড় পর্যবেক্ষণ সাইটগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, শেষ মুহূর্তে গতিপথ পাল্টে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
সাইক্লোকেইন ওয়েবসাইটের ঘূর্ণিঝড় চিত্রে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে গতিপথ পাল্টে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ‘ফণি’।
ভারতের আবহাওয়া অফিস প্রকাশিত ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথের চিত্রেও দেখা যায়, অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোনোর পর গতিপথ পাল্টাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ২৪ ঘণ্টা ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
অন্যদিকে আবহাওয়ার ছয় নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০২ (দুই) নম্বর (পুনঃ) ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।