সংসদে অর্থমন্ত্রী
নিয়ন্ত্রণের বাইরে পুঁজিবাজার, আসছে বাজেটে প্রণোদনা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০১:২৪
ফাইল ফটো।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করে আগামী বাজেটে এ খাত শক্তিশালী করতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রবিবার জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙা ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তবে বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এগিয়ে যাওয়া থমকে যাবে। পুঁজিবাজারে যেসব সমস্যা রয়েছে এগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সবগুলোই এক এক করে সমাধান করা হবে। আগামী বাজেটে এতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রণোদনা কি পরিমাণ হতে পারে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি মুস্তাফা কামাল।
অপর এক সাংসদের প্রশ্নের জবাবে দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এ খাতের নাজুক পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে মুস্তাফা কামাল বলেন, আমাদের ব্যাংকিং খাত অনেকের ধারণায় নাজুক অবস্থায় আছে। এটা আমাদের স্বীকার করতে দোষ নেই। প্রত্যেক দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। একটি উন্নয়নশীল দেশে সবগুলো খাতকে সুন্দর ও সমভাবে পরিচালনা করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তবে ব্যাংকিং খাত নাজুক সময় পার করলেও ব্যবসা খারাপ করছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, এ খাত খারাপ করলে বাংলাদেশ বিশ্বের পাঁচটি মাথাপিছু প্রবৃদ্ধি অর্জনের দেশে পরিণত হতে পারতো না। সবার ওপরে এখন রয়েছে বাংলাদেশ। এই অর্জন ব্যাংককে বাদ দিয়ে হয় না।
১৪-১৫ শতাংশ ঋণের সুদ পৃথিবীর কোথাও নেই জানিয়ে মুস্তাফা কামাল বলেন, আমরা বুঝে শুনে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ ধরে রাখতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদের ব্যবস্থা করছি। এর ওপর সুদের হার করা হলে যারা ঋণ নেন তারা পরিশোধে ব্যর্থ হন। এতে খেলাপি ঋণের সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি বলেন, আমরা সুদের হারের বিষয়টির ওপর কাজ করছি। শিগগিরই সারা বিশ্বের সঙ্গে সমন্বিত করে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক রেট আমরা করবো। ইন্টারেস্ট আমরা কমাবো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সিঙ্গেল ডিজিটে রাখবো। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতার সুবিধা বিবেচনা করে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে। দুই পক্ষেরই উইন উইন ইন্টারেস্ট রেট পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
ফারমার্স ব্যাংক নতুন নামে (পদ্মা ব্যাংক) পরিচালনা প্রসঙ্গে আরেক সাংসদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হোক সেটা সরকার চায় না। আমরা চাই সকলে ভালোভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের পরিস্থিতি হলে সরকার তার পাশে দাঁড়াবে। যতটা প্রয়োজন সহযোগিতা করবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও এই সুযোগ দেওয়া হয়। আর ফারমার্স ব্যাংক ব্যর্থ হয়েছে এর অর্থ এই নয় যে- পদ্মা ব্যাংকও ফেল করবে। আমরা আশা করি পদ্মা ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০১:২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করে আগামী বাজেটে এ খাত শক্তিশালী করতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রবিবার জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙা ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তবে বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এগিয়ে যাওয়া থমকে যাবে। পুঁজিবাজারে যেসব সমস্যা রয়েছে এগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সবগুলোই এক এক করে সমাধান করা হবে। আগামী বাজেটে এতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রণোদনা কি পরিমাণ হতে পারে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি মুস্তাফা কামাল।
অপর এক সাংসদের প্রশ্নের জবাবে দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এ খাতের নাজুক পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে মুস্তাফা কামাল বলেন, আমাদের ব্যাংকিং খাত অনেকের ধারণায় নাজুক অবস্থায় আছে। এটা আমাদের স্বীকার করতে দোষ নেই। প্রত্যেক দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। একটি উন্নয়নশীল দেশে সবগুলো খাতকে সুন্দর ও সমভাবে পরিচালনা করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তবে ব্যাংকিং খাত নাজুক সময় পার করলেও ব্যবসা খারাপ করছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, এ খাত খারাপ করলে বাংলাদেশ বিশ্বের পাঁচটি মাথাপিছু প্রবৃদ্ধি অর্জনের দেশে পরিণত হতে পারতো না। সবার ওপরে এখন রয়েছে বাংলাদেশ। এই অর্জন ব্যাংককে বাদ দিয়ে হয় না।
১৪-১৫ শতাংশ ঋণের সুদ পৃথিবীর কোথাও নেই জানিয়ে মুস্তাফা কামাল বলেন, আমরা বুঝে শুনে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ ধরে রাখতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদের ব্যবস্থা করছি। এর ওপর সুদের হার করা হলে যারা ঋণ নেন তারা পরিশোধে ব্যর্থ হন। এতে খেলাপি ঋণের সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি বলেন, আমরা সুদের হারের বিষয়টির ওপর কাজ করছি। শিগগিরই সারা বিশ্বের সঙ্গে সমন্বিত করে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক রেট আমরা করবো। ইন্টারেস্ট আমরা কমাবো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সিঙ্গেল ডিজিটে রাখবো। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতার সুবিধা বিবেচনা করে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে। দুই পক্ষেরই উইন উইন ইন্টারেস্ট রেট পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
ফারমার্স ব্যাংক নতুন নামে (পদ্মা ব্যাংক) পরিচালনা প্রসঙ্গে আরেক সাংসদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হোক সেটা সরকার চায় না। আমরা চাই সকলে ভালোভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের পরিস্থিতি হলে সরকার তার পাশে দাঁড়াবে। যতটা প্রয়োজন সহযোগিতা করবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও এই সুযোগ দেওয়া হয়। আর ফারমার্স ব্যাংক ব্যর্থ হয়েছে এর অর্থ এই নয় যে- পদ্মা ব্যাংকও ফেল করবে। আমরা আশা করি পদ্মা ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে।