ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে শুক্রবার বসছে না পদ্মাসেতুর স্প্যান
অনলাইন ডেস্ক | ২ মে, ২০১৯ ০১:২৯
ফাইল ফটো।
ঘূর্ণিঝড় 'ফণী' বর্তমানে ক্যাটেগরি-৩ ধারণ করে সাগরে অবস্থান করছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বায়ুর বেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার এর মতো।
এ কারণে যে কোনো ধরনের ঝুঁকি বা দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মাসেতুতে ১২তম স্প্যান ‘৫-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
'ফণী' ভারতের ওড়িয়া ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে শুক্রবার স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন, স্থলভাগে প্রবেশের পর এটি দুর্বল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
আবহাওয়াবিদরা আরো জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে শুরু করে শনিবার পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হবে।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা ছিল প্রকৌশলীদের।
বৃহস্পতিবার (২ মে) মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্ধারিত পিলারের কাছে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন বহন করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বুধবার পদ্মাসেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে ১২তম স্প্যান বসানো পরিকল্পনা সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।
পদ্মাসেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে ১২তম স্প্যান ‘৫-এফ’ বসানো হচ্ছে না শুক্রবার। রোববারের (৫ মে) পরে স্প্যানটির বসানোর সিদ্ধান্ত হবে। এখন স্প্যানটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রয়েছে।
সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান বসানো হলে দৃশ্যমান হবে ১৮০০ মিটার। এর আগে ২৩ এপ্রিল জাজিরায় ১১তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় ১ হাজার ৬৫০ মিটার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২ মে, ২০১৯ ০১:২৯

ঘূর্ণিঝড় 'ফণী' বর্তমানে ক্যাটেগরি-৩ ধারণ করে সাগরে অবস্থান করছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বায়ুর বেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার এর মতো।
এ কারণে যে কোনো ধরনের ঝুঁকি বা দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মাসেতুতে ১২তম স্প্যান ‘৫-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
'ফণী' ভারতের ওড়িয়া ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে শুক্রবার স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন, স্থলভাগে প্রবেশের পর এটি দুর্বল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
আবহাওয়াবিদরা আরো জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে শুরু করে শনিবার পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হবে।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা ছিল প্রকৌশলীদের।
বৃহস্পতিবার (২ মে) মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্ধারিত পিলারের কাছে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন বহন করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বুধবার পদ্মাসেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে ১২তম স্প্যান বসানো পরিকল্পনা সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। পদ্মাসেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে ১২তম স্প্যান ‘৫-এফ’ বসানো হচ্ছে না শুক্রবার। রোববারের (৫ মে) পরে স্প্যানটির বসানোর সিদ্ধান্ত হবে। এখন স্প্যানটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রয়েছে।
সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান বসানো হলে দৃশ্যমান হবে ১৮০০ মিটার। এর আগে ২৩ এপ্রিল জাজিরায় ১১তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় ১ হাজার ৬৫০ মিটার।