চীনের কাছে বাংলাদেশের ঋণ ১৬ বিলিয়ন ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ মে, ২০১৯ ০০:১১
চীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন মেয়াদে মোট ১৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুয়া।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সাহায্যের নামে চীনা ঋণের ফাঁদ পাতার অভিযোগ নাকচ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এবারের বৈঠকে যারা অংশ নিয়েছে তারা সবাই চীনা ঋণে লাভবান হওয়ার কথা বলেছে। এ ছাড়া একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে যাতে প্রকল্প বাছাই করার সময়ই ঝুঁকি নিরূপণ করা যায়। এতে এমন ফাঁদ তৈরি হবে না।
চীন বাংলাদেশকে কত ঋণ দিয়েছে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশ সহজ শর্তে ১২ দশমিক ৩ বিলিয়ন আরএমবি (চীনা মুদ্রা) ও বায়ার্স ক্রেডিট হিসেবে ৩ দশমিক ৯ মার্কিন ডলার ঋণ পেয়েছে। এ ঋণের সুদের হার ২-৩ শতাংশ, যা অন্য কোনো বাণিজ্যিক ঋণের সুদের হারের চেয়ে কম।
তিনি বলেন, চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশ ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আরো পাঁচটি প্রকল্প প্রস্তাব পর্যালোচনা পর্যায়ে আছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশই মনে করে এ ঘাটতির কারণ বাংলাদেশের অকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা।
সম্প্রতি বেইজিংয়ে চীনের ‘এক অঞ্চল এক পথ’ পরিকল্পনাবিষয়ক ফোরামের দ্বিতীয় বৈঠক বিষয়ে ঢাকায় বুধবার এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। রাষ্টদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে চীনের ‘এক অঞ্চল এক পথ’ পরিকল্পনায় যোগ দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও প্রত্যাবাসন শুরুর ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী গঠনমূলক সহযোগিতায় চীন প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর (বিসিআইএম) বাস্তবায়ন হলে এবং রাখাইনে উন্নয়ন হলে রোহিঙ্গা সংকট থাকবে না।
চীনের ‘এক অঞ্চল এক পথ’ পরিকল্পনায় ভারতের যোগ না দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর চীন সফরকালে প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং তাঁকে বলেছেন যে ভারত ও চীন একসঙ্গে মিলে কোনো কাজ করলে তার ফল এক আর এক দুই নয়, বরং এগারো বা তার চেয়ে বেশি কিছু হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ মে, ২০১৯ ০০:১১

চীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন মেয়াদে মোট ১৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুয়া।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সাহায্যের নামে চীনা ঋণের ফাঁদ পাতার অভিযোগ নাকচ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এবারের বৈঠকে যারা অংশ নিয়েছে তারা সবাই চীনা ঋণে লাভবান হওয়ার কথা বলেছে। এ ছাড়া একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে যাতে প্রকল্প বাছাই করার সময়ই ঝুঁকি নিরূপণ করা যায়। এতে এমন ফাঁদ তৈরি হবে না।
চীন বাংলাদেশকে কত ঋণ দিয়েছে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশ সহজ শর্তে ১২ দশমিক ৩ বিলিয়ন আরএমবি (চীনা মুদ্রা) ও বায়ার্স ক্রেডিট হিসেবে ৩ দশমিক ৯ মার্কিন ডলার ঋণ পেয়েছে। এ ঋণের সুদের হার ২-৩ শতাংশ, যা অন্য কোনো বাণিজ্যিক ঋণের সুদের হারের চেয়ে কম।
তিনি বলেন, চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশ ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আরো পাঁচটি প্রকল্প প্রস্তাব পর্যালোচনা পর্যায়ে আছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশই মনে করে এ ঘাটতির কারণ বাংলাদেশের অকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা।
সম্প্রতি বেইজিংয়ে চীনের ‘এক অঞ্চল এক পথ’ পরিকল্পনাবিষয়ক ফোরামের দ্বিতীয় বৈঠক বিষয়ে ঢাকায় বুধবার এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। রাষ্টদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে চীনের ‘এক অঞ্চল এক পথ’ পরিকল্পনায় যোগ দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও প্রত্যাবাসন শুরুর ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী গঠনমূলক সহযোগিতায় চীন প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর (বিসিআইএম) বাস্তবায়ন হলে এবং রাখাইনে উন্নয়ন হলে রোহিঙ্গা সংকট থাকবে না।
চীনের ‘এক অঞ্চল এক পথ’ পরিকল্পনায় ভারতের যোগ না দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর চীন সফরকালে প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং তাঁকে বলেছেন যে ভারত ও চীন একসঙ্গে মিলে কোনো কাজ করলে তার ফল এক আর এক দুই নয়, বরং এগারো বা তার চেয়ে বেশি কিছু হবে।