অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের সাতটি ফ্লাইট বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ মে, ২০১৯ ২২:১৪
উড়োজাহাজ সংকটে অভ্যন্তরীণ রুটের সাতটি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বুধবার একটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ার পর উড়োজাহাজ সংকটে জটিলতায় পড়ে বিমান।
বিমানের জনসংযোগ শাখার জিএম শাকিল মেরাজ গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করে একটি উড়োজাহাজ বিকল। আগামী সোমবার পর্যন্ত ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, সিলেট, যশোর ও রাজশাহী রুটে সাতটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
বুধবার ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে রানওয়ে থেকে পড়ে বিমানের একটি ফ্লাইট। বিমানটিতে শিশুসহ ২৯ যাত্রী, দু’জন পাইলট, দু’জন কেবিন ক্রু ও দু’জন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। এ ঘটনায় আহত ১৯ যাত্রীকে ইয়াঙ্গুনের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে শাকিল মেরাজ জানান, ‘পাইলট, কেবিন ক্রু, গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারদের ফিরিয়ে আনতে একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার মিয়ানমার যাচ্ছে। একই সঙ্গে আহত যারা আসতে চাইবেন তাদেরও ফিরিয়ে আনা হবে।’ ‘চিকিৎসকদের পরামর্শ ও মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকায় ফিরবে।’
এ ফ্লাইটে চার যাত্রী, দুই পাইলট, দুই কেবিন ক্রু ও দুই গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।ঈদের সময় অভ্যন্তরীণ রুটে বাড়তি ফ্লাইট চালায় বিমান বাংলাদেশ।
তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে এবং বোয়িং ৭৮৭, ৭৭৭ ও ৭৩৭ উড়োজাহাজ দিয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালানো হয়।
কাজেই নতুন করে এমন সংকটে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শাকিল মেরাজ বলেন, তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে দুটো উড়োজাহাজ ভাড়া আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আলাফকো এভিয়েশন লিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির কাছ থেকে ছয় বছরের জন্য দুটি বোয়িং ৭৩৭ এয়ারক্রাফট লিজ নেয়া হচ্ছে। এর একটি শুক্রবারই বিমান বহরে যুক্ত হওয়ার কথা। ১০ জুন হবে আরেকটি।
‘এ দুটো উড়োজাহাজ দিয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও যশোরে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।’
বিমানের জনসংযোগ শাখার জিএম আরও বলেন, তখন এয়ারক্রাফটের সংকট আর থাকবে না, যাত্রীদেরও অসুবিধা হবে না।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমানের বহরে বর্তমানে ১৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০, চারটি ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ-৮।
এর মধ্যে একটি বোয়িং ৭৩৭ মেরামতের জন্য গ্রাউন্ডেড। আর মিয়ানমারে দুর্ঘটনায় একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ অকেজো হয়ে গেছে।
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ মে, ২০১৯ ২২:১৪
উড়োজাহাজ সংকটে অভ্যন্তরীণ রুটের সাতটি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বুধবার একটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ার পর উড়োজাহাজ সংকটে জটিলতায় পড়ে বিমান।
বিমানের জনসংযোগ শাখার জিএম শাকিল মেরাজ গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করে একটি উড়োজাহাজ বিকল। আগামী সোমবার পর্যন্ত ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, সিলেট, যশোর ও রাজশাহী রুটে সাতটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
বুধবার ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে রানওয়ে থেকে পড়ে বিমানের একটি ফ্লাইট। বিমানটিতে শিশুসহ ২৯ যাত্রী, দু’জন পাইলট, দু’জন কেবিন ক্রু ও দু’জন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। এ ঘটনায় আহত ১৯ যাত্রীকে ইয়াঙ্গুনের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে শাকিল মেরাজ জানান, ‘পাইলট, কেবিন ক্রু, গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারদের ফিরিয়ে আনতে একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার মিয়ানমার যাচ্ছে। একই সঙ্গে আহত যারা আসতে চাইবেন তাদেরও ফিরিয়ে আনা হবে।’ ‘চিকিৎসকদের পরামর্শ ও মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকায় ফিরবে।’
এ ফ্লাইটে চার যাত্রী, দুই পাইলট, দুই কেবিন ক্রু ও দুই গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।ঈদের সময় অভ্যন্তরীণ রুটে বাড়তি ফ্লাইট চালায় বিমান বাংলাদেশ।
তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে এবং বোয়িং ৭৮৭, ৭৭৭ ও ৭৩৭ উড়োজাহাজ দিয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালানো হয়।
কাজেই নতুন করে এমন সংকটে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শাকিল মেরাজ বলেন, তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে দুটো উড়োজাহাজ ভাড়া আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আলাফকো এভিয়েশন লিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির কাছ থেকে ছয় বছরের জন্য দুটি বোয়িং ৭৩৭ এয়ারক্রাফট লিজ নেয়া হচ্ছে। এর একটি শুক্রবারই বিমান বহরে যুক্ত হওয়ার কথা। ১০ জুন হবে আরেকটি।
‘এ দুটো উড়োজাহাজ দিয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও যশোরে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।’
বিমানের জনসংযোগ শাখার জিএম আরও বলেন, তখন এয়ারক্রাফটের সংকট আর থাকবে না, যাত্রীদেরও অসুবিধা হবে না।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমানের বহরে বর্তমানে ১৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০, চারটি ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ-৮।
এর মধ্যে একটি বোয়িং ৭৩৭ মেরামতের জন্য গ্রাউন্ডেড। আর মিয়ানমারে দুর্ঘটনায় একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ অকেজো হয়ে গেছে।
এই পাতার আরো খবর
