কম পারিশ্রমিক দেওয়ায় নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশি দম্পতির জেল
অনলাইন ডেস্ক | ১১ মে, ২০১৯ ১৫:৪১
ঘণ্টাপ্রতি দিতেন ছয় ডলার। কাজ করাতেন আরও বেশি। আবার সাপ্তাহিক ছুটি দেন না প্রায় ১৪ মাস! নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে মিষ্টির দোকান দেওয়া এক দম্পতিকে এসব কারণে কারাদণ্ড দিয়েছে সে দেশের আদালত। দুজনের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় পত্রিকা স্টাফ জানিয়েছে, মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী নাফিসা আহমেদকে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দুজনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসী সংক্রান্ত সাতটি অভিযোগ, নির্যাতনের দশটি এবং ন্যায় বিচার বিকৃত করার তিনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আতিকুলকে চার বছর পাঁচ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে দুই বছর ছয় মাস।
বিচারক ব্রুক গিবসন তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘কয়েক জন নির্যাতিত কর্মী ধারের টাকায় নিউজিল্যান্ডে এসেছে। দীর্ঘ সময় কাজ করার জন্য তাদের সামাজিক জীবন বলতে কিছুই ছিল না। তাদের কার্যত কমিউনিটি থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল।’
একজন কর্মী এসবের প্রতিবাদ করলে আতিকুল তাকে এভাবে উত্তর দেন, ‘এটা একটা ব্যবসা। তুমি বাংলাদেশে ফিরে যেতে পার।’
আতিকুল তার এক বন্ধুর মাধ্যমে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলেন, ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করা বাংলাদেশের একটা স্বাভাবিক নিয়ম!
তবে একজন কর্মী বলেছেন, বাংলাদেশে এতটা কাজ তারা কখনো করেননি।
নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন বিভাগের মুখপাত্র পিট দেভো জানিয়েছেন, এই রায়ে তারা খুশি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১১ মে, ২০১৯ ১৫:৪১

ঘণ্টাপ্রতি দিতেন ছয় ডলার। কাজ করাতেন আরও বেশি। আবার সাপ্তাহিক ছুটি দেন না প্রায় ১৪ মাস! নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে মিষ্টির দোকান দেওয়া এক দম্পতিকে এসব কারণে কারাদণ্ড দিয়েছে সে দেশের আদালত। দুজনের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় পত্রিকা স্টাফ জানিয়েছে, মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী নাফিসা আহমেদকে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দুজনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসী সংক্রান্ত সাতটি অভিযোগ, নির্যাতনের দশটি এবং ন্যায় বিচার বিকৃত করার তিনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আতিকুলকে চার বছর পাঁচ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে দুই বছর ছয় মাস।
বিচারক ব্রুক গিবসন তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘কয়েক জন নির্যাতিত কর্মী ধারের টাকায় নিউজিল্যান্ডে এসেছে। দীর্ঘ সময় কাজ করার জন্য তাদের সামাজিক জীবন বলতে কিছুই ছিল না। তাদের কার্যত কমিউনিটি থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল।’
একজন কর্মী এসবের প্রতিবাদ করলে আতিকুল তাকে এভাবে উত্তর দেন, ‘এটা একটা ব্যবসা। তুমি বাংলাদেশে ফিরে যেতে পার।’
আতিকুল তার এক বন্ধুর মাধ্যমে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলেন, ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করা বাংলাদেশের একটা স্বাভাবিক নিয়ম!
তবে একজন কর্মী বলেছেন, বাংলাদেশে এতটা কাজ তারা কখনো করেননি।
নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন বিভাগের মুখপাত্র পিট দেভো জানিয়েছেন, এই রায়ে তারা খুশি।