কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনায় বাধা রাজনৈতিক প্রভাব: কৃষিমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০১৯ ২১:৫২
সরকার রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়, এরশাদের আমল থেকেই এই সমস্যা রয়েছে। সব সরকারই কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু সবাই ফেল করেছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বোরো ধান নিয়ে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে তিনটি উপায়ের কথা বলেন।
সেগুলো হলো, ধান-চাল রপ্তানির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে, ধান উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা উপকরণের দাম কমাতে হবে এবং আরো উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উন্নয়ন করতে হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ক্ষেত্রে আরো সমস্যা রয়েছে।
‘সেগুলো হলো, কৃষকের কাছ থেকে কেনা ধান সব সময় মানসম্পন্ন পাওয়া যায় না। কৃষকের কাছ থেকে কেনা ধান অনেক সময় ভেজা থাকে। ভেজা থাকার কারণে সেই ভেজা ধান যদি সরকার না কেনে তাহলে সেই ধান আবার মাথায় করে কৃষককে তার বাড়ি ফেরত নিয়ে যেতে হয়। যা সত্যিই বেদনাদায়ক। তবে মিলারদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন ধান পাওয়া যায়। সেই ভেজা থাকে না’।
মন্ত্রী বলেন, আশা করছি এ বছর বোরো, আউশ ও আমনসহ সাড়ে তিন কোটি টনের বেশি ধান উৎপাদন হবে। এর মধ্যে বোরো ধান উৎপাদন হবে এক কোটি ৯৬ লাখ টন।
ধান কাটায় শ্রমিক না পাওয়া প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য একটি শুভ সংবাদ যে দেশে শ্রমিক নেই। এটি একটি ভালো দিক।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৫ লাখ টন চাল কেনে। যা বাজারে তেমন প্রভাব ফেলে না। সরকার যদি ২০ লাখ টন চাল যদি কিনত তাহলেও উৎপাদিত এই সাড়ে তিন কোটি টনের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলতো না।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, সম্প্রতি উৎপাদিত বোরোর কম দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সরকার। এ অবস্থায় চাল রপ্তানির বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। উৎপাদিত বোরোর ৮০ শতাংশ কাটা হয়ে গেলে সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বিশেষ প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০১৯ ২১:৫২

সরকার রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়, এরশাদের আমল থেকেই এই সমস্যা রয়েছে। সব সরকারই কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু সবাই ফেল করেছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বোরো ধান নিয়ে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে তিনটি উপায়ের কথা বলেন।
সেগুলো হলো, ধান-চাল রপ্তানির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে, ধান উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা উপকরণের দাম কমাতে হবে এবং আরো উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উন্নয়ন করতে হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ক্ষেত্রে আরো সমস্যা রয়েছে।
‘সেগুলো হলো, কৃষকের কাছ থেকে কেনা ধান সব সময় মানসম্পন্ন পাওয়া যায় না। কৃষকের কাছ থেকে কেনা ধান অনেক সময় ভেজা থাকে। ভেজা থাকার কারণে সেই ভেজা ধান যদি সরকার না কেনে তাহলে সেই ধান আবার মাথায় করে কৃষককে তার বাড়ি ফেরত নিয়ে যেতে হয়। যা সত্যিই বেদনাদায়ক। তবে মিলারদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন ধান পাওয়া যায়। সেই ভেজা থাকে না’।
মন্ত্রী বলেন, আশা করছি এ বছর বোরো, আউশ ও আমনসহ সাড়ে তিন কোটি টনের বেশি ধান উৎপাদন হবে। এর মধ্যে বোরো ধান উৎপাদন হবে এক কোটি ৯৬ লাখ টন।
ধান কাটায় শ্রমিক না পাওয়া প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য একটি শুভ সংবাদ যে দেশে শ্রমিক নেই। এটি একটি ভালো দিক।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৫ লাখ টন চাল কেনে। যা বাজারে তেমন প্রভাব ফেলে না। সরকার যদি ২০ লাখ টন চাল যদি কিনত তাহলেও উৎপাদিত এই সাড়ে তিন কোটি টনের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলতো না।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, সম্প্রতি উৎপাদিত বোরোর কম দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সরকার। এ অবস্থায় চাল রপ্তানির বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। উৎপাদিত বোরোর ৮০ শতাংশ কাটা হয়ে গেলে সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে।