পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেনি বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ মে, ২০১৯ ১৯:২৯
পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেনি বাংলাদেশ, জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘উল্টো পাকিস্তান আমাদের লোকদের ভিসা দিচ্ছে না।’
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারও ভিসা দেওয়া বন্ধ করিনি। কেউ কেউ ভিসা না-ই পেতে পারেন, যেটা সারা দুনিয়ায় হয়। কিন্তু আমরা পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করিনি।”
ইসলামাবাদে বাংলাদেশে হাই কমিশনের প্রেস কাউন্সেলর ও ভারপ্রাপ্ত ভিসা কাউন্সেলর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ভিসার আবেদন চার মাস আটকে রাখায় ১৩ মে থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে মঙ্গলবার একাধিক জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনও কারণে ব্যক্তি বিশেষে বাংলাদেশ তাদের ভিসা নাও দিতে পারে। তবে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছাপা হওয়ায় আমরা এর প্রতিবাদ পাঠাব।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, লোকবল সংকটের কারণে এক সপ্তাহ ধরে ইসলামাবাদে ভিসা দিতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু করাচির বাংলাদেশ মিশন থেকে ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাকে পাকিস্তান ভিসা না দেওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ মিশনে কনস্যুলার উইংয়ে কোনো কর্মকর্তা নেই।
তিনি বলেন, “আমাদের হাইকমিশনার আরেক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়েছে। পাকিস্তান তার ভিসা নবায়ন করেনি।”
এ অচলাবস্থার কারণ ব্যাখ্যা না করলেও পাকিস্তান এ সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত বছর ইসলামাবাদ থেকে প্রস্তাবিত নতুন পাকিস্তান হাইকমিশনারকে বাংলাদেশ গ্রহণ না করার প্রতিক্রিয়ায় এটা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা অপ্রাসঙ্গিক এই কারণে যে তারা একটা নাম পাঠিয়েছে আমরা সেটা গ্রহণ করিনি। তাহলে আরেকটা নাম পাঠাবে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু তারা নতুন কোনো নামই পাঠায়নি। আমাদের দিক থেকে কেনো সমস্যা নেই। তারা নতুন নাম দিলে আমরা গ্রহণ করব।”
২০১০ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকে দু দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে। ওই বিচার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ মে, ২০১৯ ১৯:২৯

পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেনি বাংলাদেশ, জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘উল্টো পাকিস্তান আমাদের লোকদের ভিসা দিচ্ছে না।’
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারও ভিসা দেওয়া বন্ধ করিনি। কেউ কেউ ভিসা না-ই পেতে পারেন, যেটা সারা দুনিয়ায় হয়। কিন্তু আমরা পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করিনি।”
ইসলামাবাদে বাংলাদেশে হাই কমিশনের প্রেস কাউন্সেলর ও ভারপ্রাপ্ত ভিসা কাউন্সেলর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ভিসার আবেদন চার মাস আটকে রাখায় ১৩ মে থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে মঙ্গলবার একাধিক জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনও কারণে ব্যক্তি বিশেষে বাংলাদেশ তাদের ভিসা নাও দিতে পারে। তবে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছাপা হওয়ায় আমরা এর প্রতিবাদ পাঠাব।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, লোকবল সংকটের কারণে এক সপ্তাহ ধরে ইসলামাবাদে ভিসা দিতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু করাচির বাংলাদেশ মিশন থেকে ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাকে পাকিস্তান ভিসা না দেওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ মিশনে কনস্যুলার উইংয়ে কোনো কর্মকর্তা নেই।
তিনি বলেন, “আমাদের হাইকমিশনার আরেক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়েছে। পাকিস্তান তার ভিসা নবায়ন করেনি।”
এ অচলাবস্থার কারণ ব্যাখ্যা না করলেও পাকিস্তান এ সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত বছর ইসলামাবাদ থেকে প্রস্তাবিত নতুন পাকিস্তান হাইকমিশনারকে বাংলাদেশ গ্রহণ না করার প্রতিক্রিয়ায় এটা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা অপ্রাসঙ্গিক এই কারণে যে তারা একটা নাম পাঠিয়েছে আমরা সেটা গ্রহণ করিনি। তাহলে আরেকটা নাম পাঠাবে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু তারা নতুন কোনো নামই পাঠায়নি। আমাদের দিক থেকে কেনো সমস্যা নেই। তারা নতুন নাম দিলে আমরা গ্রহণ করব।”
২০১০ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকে দু দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে। ওই বিচার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।