কৃষির যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় ৩ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ মে, ২০১৯ ২৩:১৩
প্রতিবছর কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ দেওয়া নয় হাজার কোটি টাকার মধ্য থেকে তিন হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক ‘সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮’-এর মোড়ক উন্মোচন এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ধান কাটা, রোপণ ও অন্যান্য কাজে কৃষি শ্রমিক পাওয়া এখন একটা বড় সমস্যা। এর একমাত্র সমাধান কৃষির যান্ত্রিকীকরণ। এজন্য ইতোমধ্যেই আমরা এ কাজ শুরু করেছি এবং শিগগিরই শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন করবো।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কিছু মিডিয়া বলে থাকে, সরকার কৃষকের সঙ্গে নেই। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কীভাবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা এ কথা বলছেন। ১৯৪৭ সাল থেকে সব সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা বলেছে, কিন্তু কেউ তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে; নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষির মাধ্যমে। যে নেত্রী খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করতে পারেন, সে নেত্রী কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতেও পারবেন। কৃষকদের কল্যাণে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেছেন, মিলারদের আমরা জরুরি ভিত্তিতে ধান কেনার জন্য বলেছি। সরকার ১২ লাখ টন ধান এবং দুই লাখ টন চাল দ্রুত কিনবে। আমাদের তিন কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদনের বিপরীতে ১০-১২ লাখ টন কিনলে বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে সীমিত পর্যায়ে রফতানিরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।
বিএআরসি চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আবদুল মান্নান এমপি ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮-এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ মে, ২০১৯ ২৩:১৩

প্রতিবছর কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ দেওয়া নয় হাজার কোটি টাকার মধ্য থেকে তিন হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক ‘সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮’-এর মোড়ক উন্মোচন এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ধান কাটা, রোপণ ও অন্যান্য কাজে কৃষি শ্রমিক পাওয়া এখন একটা বড় সমস্যা। এর একমাত্র সমাধান কৃষির যান্ত্রিকীকরণ। এজন্য ইতোমধ্যেই আমরা এ কাজ শুরু করেছি এবং শিগগিরই শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন করবো।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কিছু মিডিয়া বলে থাকে, সরকার কৃষকের সঙ্গে নেই। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কীভাবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা এ কথা বলছেন। ১৯৪৭ সাল থেকে সব সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা বলেছে, কিন্তু কেউ তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে; নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষির মাধ্যমে। যে নেত্রী খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করতে পারেন, সে নেত্রী কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতেও পারবেন। কৃষকদের কল্যাণে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেছেন, মিলারদের আমরা জরুরি ভিত্তিতে ধান কেনার জন্য বলেছি। সরকার ১২ লাখ টন ধান এবং দুই লাখ টন চাল দ্রুত কিনবে। আমাদের তিন কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদনের বিপরীতে ১০-১২ লাখ টন কিনলে বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে সীমিত পর্যায়ে রফতানিরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।
বিএআরসি চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আবদুল মান্নান এমপি ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮-এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার।