জটিলতা না হলে সিজার না করানোর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ মে, ২০১৯ ১৭:০৬
পরিস্থিতি খুব জটিল না হলে সন্তান প্রসবকালে প্রসূতির সিজার না করানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একই সঙ্গে সন্তান প্রসবের সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এই আহ্বান জানান। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগের দুই সচিব।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হচ্ছে। মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন সম্ভব না হলেও সরকার এ ব্যাপারে কাজ করছে। ২০১৫ সালে মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখে ১৪৩ জন থাকার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে আমাদের দেশে এটা ছিল ১৭৬ জন। প্রতি লাখে ২০১৮-১৯ সালে এটা ১৭২ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০৩০ সালে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য আমাদের পরামর্শ হলো— প্রসবের জন্য প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা। প্রসবকালে মায়ের খুব জটিল পরিস্থিতি না হলে সিজারিয়ান না করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। দারিদ্র্যের হার কমলে এবং পুষ্টির হারের উন্নয়ন ঘটলে মাতৃমৃত্যু কমবে। এ জন্য জনবল নিয়োগ হচ্ছে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ মে, ২০১৯ ১৭:০৬

পরিস্থিতি খুব জটিল না হলে সন্তান প্রসবকালে প্রসূতির সিজার না করানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একই সঙ্গে সন্তান প্রসবের সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এই আহ্বান জানান। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগের দুই সচিব।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হচ্ছে। মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন সম্ভব না হলেও সরকার এ ব্যাপারে কাজ করছে। ২০১৫ সালে মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখে ১৪৩ জন থাকার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে আমাদের দেশে এটা ছিল ১৭৬ জন। প্রতি লাখে ২০১৮-১৯ সালে এটা ১৭২ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০৩০ সালে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য আমাদের পরামর্শ হলো— প্রসবের জন্য প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা। প্রসবকালে মায়ের খুব জটিল পরিস্থিতি না হলে সিজারিয়ান না করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। দারিদ্র্যের হার কমলে এবং পুষ্টির হারের উন্নয়ন ঘটলে মাতৃমৃত্যু কমবে। এ জন্য জনবল নিয়োগ হচ্ছে।’