‘বিবেকের অনুশাসন’ মেনে চলতে বললেন সেতুমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ৩১ মে, ২০১৯ ১৭:২১
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে পরিবহন মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বিবেকের অনুশাসন মেনে চলতে বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি শুক্রবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গাবতলীতে বিআরটিএ এসি বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৮০০ টাকার ভাড়া ১৫০০ টাকা হবে, এটা হতে পারে না। চলতে পারে না’।
‘তার একটা সীমারেখা থাকা দরকার। মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসি টিকিটের ভাড়া যেন রিজনেবল থাকে। বিবেকের অনুশাসন যেন মানা হয়।’
তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটা স্বস্তি ও আরামদায়ক হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর ঈদে সড়ক কিংবা মহাসড়কে কোথাও যানজট হওয়ার আশঙ্কা নেই। রাস্তায় সমস্যা নেই, সমস্যা শুধু যানবাহনের শৃঙ্খলায়। যানবাহনে শৃঙ্খলা এলে আমার মনে হয় এবার ঢাকাসহ সারা দেশে কোথাও রাস্তায় যানজট হবে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার কিছুটা সমস্যা হবে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর সড়কে। এ রাস্তায় বিআরটিএ’র কাজ চলছে। গাজীপুরের মেয়র সেখানে ৩শ’ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন। সেখানে একটু অস্বস্তি হবে। এই অংশ ছাড়া বাংলাদেশের আর কোথাও সমস্যা হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাজীপুর টঙ্গী ও বিমানবন্দর সড়কে কোনো নির্মাণকাজ যদি সমস্যার সৃষ্টি করে তাহলে ঈদের সময় সে কাজ প্রয়োজনে বন্ধ রাখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদে যানজটমুক্ত পরিবেশে মানুষ যাতে তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে পারে এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দূর পাল্লার যাত্রায় চাঁদাবাজি যাতে না হয় সে দিকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধে ইতিমধ্যে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গাড়িচালক ও মালিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, গাড়িচালকরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবে না। তারা যেন এ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে সেদিকে নজর দিতে হবে। পরিবহন মালিকরাও যেন নিয়মনীতি মেনে গাড়ি চালান।
এ সময় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মশিয়ার রহমান, ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, বিআরটিএ’ ভিজিল্যান্স টিমের কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, গাবতলী আন্তজেলা টার্মিনালের নেতা মো. রায়হানসহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খবর বাসস।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৩১ মে, ২০১৯ ১৭:২১

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে পরিবহন মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বিবেকের অনুশাসন মেনে চলতে বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি শুক্রবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গাবতলীতে বিআরটিএ এসি বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৮০০ টাকার ভাড়া ১৫০০ টাকা হবে, এটা হতে পারে না। চলতে পারে না’।
‘তার একটা সীমারেখা থাকা দরকার। মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসি টিকিটের ভাড়া যেন রিজনেবল থাকে। বিবেকের অনুশাসন যেন মানা হয়।’
তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটা স্বস্তি ও আরামদায়ক হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর ঈদে সড়ক কিংবা মহাসড়কে কোথাও যানজট হওয়ার আশঙ্কা নেই। রাস্তায় সমস্যা নেই, সমস্যা শুধু যানবাহনের শৃঙ্খলায়। যানবাহনে শৃঙ্খলা এলে আমার মনে হয় এবার ঢাকাসহ সারা দেশে কোথাও রাস্তায় যানজট হবে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার কিছুটা সমস্যা হবে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর সড়কে। এ রাস্তায় বিআরটিএ’র কাজ চলছে। গাজীপুরের মেয়র সেখানে ৩শ’ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন। সেখানে একটু অস্বস্তি হবে। এই অংশ ছাড়া বাংলাদেশের আর কোথাও সমস্যা হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাজীপুর টঙ্গী ও বিমানবন্দর সড়কে কোনো নির্মাণকাজ যদি সমস্যার সৃষ্টি করে তাহলে ঈদের সময় সে কাজ প্রয়োজনে বন্ধ রাখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদে যানজটমুক্ত পরিবেশে মানুষ যাতে তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে পারে এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দূর পাল্লার যাত্রায় চাঁদাবাজি যাতে না হয় সে দিকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধে ইতিমধ্যে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গাড়িচালক ও মালিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, গাড়িচালকরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবে না। তারা যেন এ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে সেদিকে নজর দিতে হবে। পরিবহন মালিকরাও যেন নিয়মনীতি মেনে গাড়ি চালান।
এ সময় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মশিয়ার রহমান, ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, বিআরটিএ’ ভিজিল্যান্স টিমের কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, গাবতলী আন্তজেলা টার্মিনালের নেতা মো. রায়হানসহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খবর বাসস।