‘ছয় দফা নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির অনুপ্রেরণার উৎস’
অনলাইন ডেস্ক | ৭ জুন, ২০১৯ ১০:২২
ঐতিহাসিক ছয় দফা বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণারও উৎস বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ছয় দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণারও উৎস। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বৃহস্পতিবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ সব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা।’ খবর বাসসের।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে বারবার গ্রেফতার করে এবং তাঁর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। তা সত্ত্বেও তিনি ছয় দফার দাবি থেকে পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারাবাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শাসকগোষ্ঠী ছয় দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার, নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা দাবির সমর্থনে আওয়ামী লীগের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মদতে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১১ ব্যক্তি নিহত হন। আহত ও গ্রেফতার হন অনেকে।’
তিনি বলেন, ‘বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়, তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন।’
তিনি বলেন, ‘ছয় দফার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে তুলে ধরেন। ঐতিহাসিক ছয় দফার মধ্যেই নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা একটি অন্যতম মাইলফলক।’
বাণীতে তিনি ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৭ জুন, ২০১৯ ১০:২২

ঐতিহাসিক ছয় দফা বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণারও উৎস বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ছয় দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণারও উৎস। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বৃহস্পতিবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ সব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা।’ খবর বাসসের।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে বারবার গ্রেফতার করে এবং তাঁর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। তা সত্ত্বেও তিনি ছয় দফার দাবি থেকে পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারাবাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শাসকগোষ্ঠী ছয় দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার, নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা দাবির সমর্থনে আওয়ামী লীগের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মদতে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১১ ব্যক্তি নিহত হন। আহত ও গ্রেফতার হন অনেকে।’
তিনি বলেন, ‘বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়, তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন।’
তিনি বলেন, ‘ছয় দফার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে তুলে ধরেন। ঐতিহাসিক ছয় দফার মধ্যেই নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা একটি অন্যতম মাইলফলক।’
বাণীতে তিনি ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।