নারীর প্রতি সহিংসতা ও শিশুর প্রতি নির্মমতা বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ জুন, ২০১৯ ২১:৩৯
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বেতারের বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এবং শিশুর প্রতি নির্মমতা বন্ধ করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে মেধা, দেশাত্মবোধ ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।
‘তাহলেই বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেটি আজকে শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ ও ’৪১ সাল নাগাদ আমরা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারব’।
রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি-বিচে তথ্য মন্ত্রণালয়ের শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রমের আওতায় বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম আবুল হোসেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, বিটিভি’র অনুষ্ঠান প্রিভিউ কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা স্বপ্নের বাংলাদেশের কল্পনা করি। প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকল্প আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। সেই ধরনের দেশ যদি গঠন করতে হয় তাহলে সেই ধরনের মানুষ প্রয়োজন। সেই ধরনের মানুষ হচ্ছে মেধা সম্পন্ন বুদ্ধিদীপ্ত মূল্যবোধে উন্নত দেশাত্মবোধ জাগ্রত।
‘মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ ও মেধার সমন্বয় যদি একটি মানুষের মধ্যে ঘটে তাহলে সে উন্নত হয়ে উঠে। আর এই সমন্বয় ঘটানোর সময় হচ্ছে শিশু ও তরুণ বয়স। সেই কাজটি আমাদের করতে হবে’।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিশুদের মাঝে মনন তৈরি ও দেশাত্মবোধ, মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য স্বপ্ন দেখাতে হবে। জীবনটা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র, এই যুদ্ধে জিততে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। জীবন চলার পথে অনেক আচ্ছাদন হারিয়ে যাবে, তাতে থামিয়ে গেলে চলবে না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর কাছে অতিক্রান্ত। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন যেভাবে পৃথিবীর কম উন্নয়নশীল দেশে হয়েছে। সমস্ত স্থানীয় সরকার পর্ষদে নারীর জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে এভাবে কেউ ভাবেনি স্থানীয় পর্যায়ে এভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হবে। এখন নারীরা বিমান চালাচ্ছেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, নারী ডিসি, এসপি, মেজর জেনারেল হবে কেউ চিন্তা করেনি। এসব সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ জুন, ২০১৯ ২১:৩৯

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এবং শিশুর প্রতি নির্মমতা বন্ধ করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে মেধা, দেশাত্মবোধ ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।
‘তাহলেই বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেটি আজকে শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ ও ’৪১ সাল নাগাদ আমরা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারব’।
রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি-বিচে তথ্য মন্ত্রণালয়ের শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রমের আওতায় বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম আবুল হোসেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, বিটিভি’র অনুষ্ঠান প্রিভিউ কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা স্বপ্নের বাংলাদেশের কল্পনা করি। প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকল্প আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। সেই ধরনের দেশ যদি গঠন করতে হয় তাহলে সেই ধরনের মানুষ প্রয়োজন। সেই ধরনের মানুষ হচ্ছে মেধা সম্পন্ন বুদ্ধিদীপ্ত মূল্যবোধে উন্নত দেশাত্মবোধ জাগ্রত।
‘মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ ও মেধার সমন্বয় যদি একটি মানুষের মধ্যে ঘটে তাহলে সে উন্নত হয়ে উঠে। আর এই সমন্বয় ঘটানোর সময় হচ্ছে শিশু ও তরুণ বয়স। সেই কাজটি আমাদের করতে হবে’।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিশুদের মাঝে মনন তৈরি ও দেশাত্মবোধ, মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য স্বপ্ন দেখাতে হবে। জীবনটা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র, এই যুদ্ধে জিততে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। জীবন চলার পথে অনেক আচ্ছাদন হারিয়ে যাবে, তাতে থামিয়ে গেলে চলবে না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর কাছে অতিক্রান্ত। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন যেভাবে পৃথিবীর কম উন্নয়নশীল দেশে হয়েছে। সমস্ত স্থানীয় সরকার পর্ষদে নারীর জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে এভাবে কেউ ভাবেনি স্থানীয় পর্যায়ে এভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হবে। এখন নারীরা বিমান চালাচ্ছেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, নারী ডিসি, এসপি, মেজর জেনারেল হবে কেউ চিন্তা করেনি। এসব সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে।