খেলাপি ঋণ কমাতে জরুরি বৈঠক
অনলাইন ডেস্ক | ১২ জুন, ২০১৯ ০১:১৯
ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে জরুরি সভা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
খেলাপি ঋণ বেশি বেড়েছে এমন ৭ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ডেকে নিয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে এ সভায় যোগ দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। সভা শেষে খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই সাতটি ব্যাংকের মধ্যে ৪টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও ৩টি বেসরকারি। ব্যাংকগুলো হলো—সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রুপালী, আল-আরাফাহ, ইসলামী ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
জানা গেছে, তিন মাসেই দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এর ফলে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অবলোপনের হিসাব বাদে খেলাপি ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল। এর আগে অবলোপনসহ খেলাপি ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। আর এখন অবলোপনসহ খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ১০ জানুয়ারি সব ব্যাংকমালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছিলেন, আজ থেকে খেলাপি ঋণ আর এক টাকাও বাড়বে না। আর জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই তিন মাসেই খেলাপি ঋণ এত বাড়ল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ খেলাপি ঋণ বাড়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ ও ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে ও খেলাপি ঋণ কমাতে কাজ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে ব্যাংকগুলোর দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের হার ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ ছাড়া দীর্ঘদিন আদায় করতে না পেরে ব্যাংকগুলোর অবলোপন করা ঋণের স্থিতি এখন প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। ফলে অবলোপন করা ঋণ যুক্ত করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। অথচ মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১২ জুন, ২০১৯ ০১:১৯

ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে জরুরি সভা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
খেলাপি ঋণ বেশি বেড়েছে এমন ৭ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ডেকে নিয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে এ সভায় যোগ দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। সভা শেষে খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই সাতটি ব্যাংকের মধ্যে ৪টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও ৩টি বেসরকারি। ব্যাংকগুলো হলো—সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রুপালী, আল-আরাফাহ, ইসলামী ও ন্যাশনাল ব্যাংক। জানা গেছে, তিন মাসেই দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এর ফলে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অবলোপনের হিসাব বাদে খেলাপি ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল। এর আগে অবলোপনসহ খেলাপি ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। আর এখন অবলোপনসহ খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ১০ জানুয়ারি সব ব্যাংকমালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছিলেন, আজ থেকে খেলাপি ঋণ আর এক টাকাও বাড়বে না। আর জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই তিন মাসেই খেলাপি ঋণ এত বাড়ল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ খেলাপি ঋণ বাড়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ ও ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে ও খেলাপি ঋণ কমাতে কাজ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে ব্যাংকগুলোর দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের হার ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ ছাড়া দীর্ঘদিন আদায় করতে না পেরে ব্যাংকগুলোর অবলোপন করা ঋণের স্থিতি এখন প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। ফলে অবলোপন করা ঋণ যুক্ত করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। অথচ মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা।