দুর্বলতা ঢাকতে ঘুষ দেন মিজান
ওসি মোয়াজ্জেম দেশেই, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ জুন, ২০১৯ ১৪:১১
ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন দেশেই রয়েছে। সে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
একইসঙ্গে আলোচিত পুলিশের ডিআইজি মিজান প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ডিআইজি মিজান ঘুষ কেন দিয়েছে? নিশ্চয়ই তার কোনো দুর্বলতা আছে। ঘুষ দেওয়া-নেওয়া দুটোই অপরাধ। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আগের অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার এখনও প্রক্রিয়াধীন।”
বুধবার কারা অধিদপ্তরে উদ্ভাবনী মেলা ও শোকেসিং ২০১৯ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ধরা যাচ্ছে না বিষয়টা ঠিক না। তার বাইরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে দেশেই আছে। আর যেকোনো মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
এমনিতেই ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তার এখনকার ঘুষ কেলেঙ্কারি যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শরীরের ৮০ শতাংশ পোড়া নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বর্ণনা দিয়ে যান নুসরাত।
সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ জুন, ২০১৯ ১৪:১১

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন দেশেই রয়েছে। সে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
একইসঙ্গে আলোচিত পুলিশের ডিআইজি মিজান প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ডিআইজি মিজান ঘুষ কেন দিয়েছে? নিশ্চয়ই তার কোনো দুর্বলতা আছে। ঘুষ দেওয়া-নেওয়া দুটোই অপরাধ। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আগের অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার এখনও প্রক্রিয়াধীন।”
বুধবার কারা অধিদপ্তরে উদ্ভাবনী মেলা ও শোকেসিং ২০১৯ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ধরা যাচ্ছে না বিষয়টা ঠিক না। তার বাইরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে দেশেই আছে। আর যেকোনো মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
এমনিতেই ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তার এখনকার ঘুষ কেলেঙ্কারি যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শরীরের ৮০ শতাংশ পোড়া নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বর্ণনা দিয়ে যান নুসরাত।
সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন।