যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিবেদন
ঈদযাত্রায় নিহত ২৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ জুন, ২০১৯ ১৯:২১
ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে ২১২টি দুর্ঘটনায় ২৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সড়কেই প্রাণ হারিয়েছেন ২২১ জন।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন (৩০ মে) থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা (১০ জুন) পর্যন্ত গত ১২ দিনে ১৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত, ৬৫২ জন আহত ও ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছে। একই সময়ে নৌপথে ৫টি দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়।
এ সময়ে রেলপথে ২২ জন নিহত হন।
সংস্থাটির গবেষণা ও মনিটরিং সেলের সদস্যরা দেশের ১৮টি জাতীয় দৈনিক, ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক ও ১০টি অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৩টি বাস, ৩৮টি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ, ১৯টি মাইক্রো, ৩০টি নছিমন-করিমন, ভটভটি-ইজিবাইক ও অটোরিকশা, ৬৪টি মোটরসাইকেল এবং ২৬টি অন্যান্য যানবাহন এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫১টি গাড়িচাপায়, ৮১টি সংঘর্ষে, ১৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এবং অন্যান্য কারণে ৩৪টি দুর্ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনারোধে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ১০টি সুপারিশ তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- (১) যানবাহনের গতিনিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, (২) সড়ক বাঁক সোজা করা, (৩) যানবাহনের ফিটনেস পদ্ধতি ডিজিটাল করা, (৪) অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, (৫) হালকা গাড়ি চালানো লাইসেন্স নিয়ে ভারী গাড়ি চালাচ্ছেন এমন চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া, (৬) মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন করা (৭) ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া (৮) রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা (৯) যাত্রী সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও (১০) ঈদযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার স্টাফ বাস যাত্রী বহনে ব্যবহার করা এবং প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যানবাহন ভাড়া করা।
মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইসমাইল গাজী দেলোয়ার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামারুল ইসলাম ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ জুন, ২০১৯ ১৯:২১

ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে ২১২টি দুর্ঘটনায় ২৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সড়কেই প্রাণ হারিয়েছেন ২২১ জন।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন (৩০ মে) থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা (১০ জুন) পর্যন্ত গত ১২ দিনে ১৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত, ৬৫২ জন আহত ও ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছে। একই সময়ে নৌপথে ৫টি দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়।
এ সময়ে রেলপথে ২২ জন নিহত হন।
সংস্থাটির গবেষণা ও মনিটরিং সেলের সদস্যরা দেশের ১৮টি জাতীয় দৈনিক, ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক ও ১০টি অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৩টি বাস, ৩৮টি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ, ১৯টি মাইক্রো, ৩০টি নছিমন-করিমন, ভটভটি-ইজিবাইক ও অটোরিকশা, ৬৪টি মোটরসাইকেল এবং ২৬টি অন্যান্য যানবাহন এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫১টি গাড়িচাপায়, ৮১টি সংঘর্ষে, ১৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এবং অন্যান্য কারণে ৩৪টি দুর্ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনারোধে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ১০টি সুপারিশ তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- (১) যানবাহনের গতিনিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, (২) সড়ক বাঁক সোজা করা, (৩) যানবাহনের ফিটনেস পদ্ধতি ডিজিটাল করা, (৪) অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, (৫) হালকা গাড়ি চালানো লাইসেন্স নিয়ে ভারী গাড়ি চালাচ্ছেন এমন চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া, (৬) মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন করা (৭) ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া (৮) রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা (৯) যাত্রী সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও (১০) ঈদযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার স্টাফ বাস যাত্রী বহনে ব্যবহার করা এবং প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যানবাহন ভাড়া করা।
মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইসমাইল গাজী দেলোয়ার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামারুল ইসলাম ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।