বাজেট এমনভাবে করে দিয়েছি যাতে সবাই সুফল পায়: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জুন, ২০১৯ ১৮:৪১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৯-২০২০ সালের বাজেট এমনভাবে করে দিয়েছি যাতে সবাই এর সুফল পায়।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে তিনি এমনটা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
‘সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে নতুন অর্থবছরের জন্য সোয়া পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি অসুস্থ থাকায় শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুরুতে এবারের বাজেটের বিভিন্ন দিক এবং সরকারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বাইরে গেলে আগে যারা মনে করত আমরা ভিক্ষুকের জাত হিসেবে যাচ্ছি, এখন আর কেউ তা মনে করে না। এটাই হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় অর্জন।
তিনি বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার জন্য যে যুদ্ধ, সেটাই সোনালি যুদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের কথা আমরা বলেছি, চাকরি দেওয়ার কথা বলিনি। ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রেখেছি, শিক্ষার কথা বলেছি, প্রযুক্তি শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, ভোকেশনাল ট্রেনিং। আমরা চাই মানুষ শিক্ষিত হয়ে ট্রেনিং নিক। নিজের কাজ নিজে করার একটা সুযোগ পাক। মূলত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এখন কিন্তু আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। ঋণের সুদ যেন ডাবল ডিজিটে না হয়। তাহলে আমাদের বিনিয়োগ বাড়বে। বেশি আর চক্রবৃদ্ধি আকারে সুদ হতে থাকলে মানুষ আর ব্যবসা করতে পারবে না। এদিকটাতে আমরা বিশেষভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক আইন আমরা সংশোধন করবো; সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাজ সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। স্বাধীনতার সুফল যেন সবাই পায় তা নিশ্চিত করা। দেশকে উন্নত, দারিদ্র্যমুক্ত করা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জুন, ২০১৯ ১৮:৪১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৯-২০২০ সালের বাজেট এমনভাবে করে দিয়েছি যাতে সবাই এর সুফল পায়।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে তিনি এমনটা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
‘সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে নতুন অর্থবছরের জন্য সোয়া পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি অসুস্থ থাকায় শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুরুতে এবারের বাজেটের বিভিন্ন দিক এবং সরকারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বাইরে গেলে আগে যারা মনে করত আমরা ভিক্ষুকের জাত হিসেবে যাচ্ছি, এখন আর কেউ তা মনে করে না। এটাই হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় অর্জন।
তিনি বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার জন্য যে যুদ্ধ, সেটাই সোনালি যুদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের কথা আমরা বলেছি, চাকরি দেওয়ার কথা বলিনি। ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রেখেছি, শিক্ষার কথা বলেছি, প্রযুক্তি শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, ভোকেশনাল ট্রেনিং। আমরা চাই মানুষ শিক্ষিত হয়ে ট্রেনিং নিক। নিজের কাজ নিজে করার একটা সুযোগ পাক। মূলত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এখন কিন্তু আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। ঋণের সুদ যেন ডাবল ডিজিটে না হয়। তাহলে আমাদের বিনিয়োগ বাড়বে। বেশি আর চক্রবৃদ্ধি আকারে সুদ হতে থাকলে মানুষ আর ব্যবসা করতে পারবে না। এদিকটাতে আমরা বিশেষভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক আইন আমরা সংশোধন করবো; সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাজ সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। স্বাধীনতার সুফল যেন সবাই পায় তা নিশ্চিত করা। দেশকে উন্নত, দারিদ্র্যমুক্ত করা।