‘আইনের ফাঁক গলে বেরোতে পারবেন না ডিআইজি মিজান’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জুন, ২০১৯ ১৫:০০
ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তার (ডিআইজি মিজান) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই জানা যাবে তদন্ত প্রতিবেদন। সে যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে সে জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।”
২০১৮ সালে একটি পত্রিকায় ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার’ শিরোনামে মিজানের বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পরে বিষয়টি তোলপাড় সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সম্প্রতি ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালায় দুদক। গত মাসে ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। অনুসন্ধান করেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির। তার বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে দু'দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তিনি।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুদক। আর ডিআইজি মিজানের ঘুষ দেওয়ার ঘটনা নজরে আসায় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হবে পুলিশের এই উপমহাপরিদর্শককে (ডিআইজি)।
দুদক পরিচালকের সঙ্গে তার ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে একজন অতিরিক্ত আইজিপির নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি আলাদাভাবে তদন্ত করছে।
এদিকে গত ১৬ জুন ‘ডিআইজি মিজানকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না’ এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জুন, ২০১৯ ১৫:০০

ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তার (ডিআইজি মিজান) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই জানা যাবে তদন্ত প্রতিবেদন। সে যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে সে জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।”
২০১৮ সালে একটি পত্রিকায় ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার’ শিরোনামে মিজানের বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পরে বিষয়টি তোলপাড় সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সম্প্রতি ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালায় দুদক। গত মাসে ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। অনুসন্ধান করেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির। তার বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে দু'দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তিনি।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুদক। আর ডিআইজি মিজানের ঘুষ দেওয়ার ঘটনা নজরে আসায় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হবে পুলিশের এই উপমহাপরিদর্শককে (ডিআইজি)।
দুদক পরিচালকের সঙ্গে তার ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে একজন অতিরিক্ত আইজিপির নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি আলাদাভাবে তদন্ত করছে।
এদিকে গত ১৬ জুন ‘ডিআইজি মিজানকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না’ এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।