যোগ্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ জুন, ২০১৯ ০১:৩৪
ফাইল ফটো।
যোগ্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাউকে বঞ্চিত করা সরকারের লক্ষ্য নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি।
সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য যে ৪টি ক্রাইটেরিয়া ধরে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে এমপিওর জন্য যোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে। একজন শিক্ষকের পরিচয় তার প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্স দিয়ে বিবেচিত হয়। আমরা অভিযোগ শুনি, পত্র-পত্রিকায় আসে কোনো কোনো শিক্ষক টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের নোট পড়াতে, গাইড বই পড়তে, কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করে। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে আমরা তাদেরতো পুরস্কৃত করতে চাই না। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও দিলে যোগ্যতার কদর থাকে না।’
যোগ্য বিবেচিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শেখ হাসিনার সরকার এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য নয় কাউকে বঞ্চিত করা। যাচাই-বাছাইয়ে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিবেচিত হয়নি সেগুলোর দিকে আমরা সবাই মিলে নজর দিই, চেষ্টা করি যাতে আগামীতে এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়।’
দিপু মণি বলেন, ‘শিক্ষাখাতে ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বাজেট বিএনপির শেষ বাজেটের পরিমাণের দশগুণ। বিএনপি যদি অবকাঠামোর উন্নয়ন করতো তাহলে অকাঠামোর উন্নয়নের দিক থেকে আমরা এগিয়ে থাকতাম। আজ অবকাঠামোর উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ বেশি দিতে হতো না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা বরাদ্দ আরও বেশি দিতে পারতাম। বিএনপির একজন সংসদ সদস্য বলেছেন দেশ মৃত্যুর উপত্যকা। তারা যখন আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, শেখ হাসিনা সরকার তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে, তাই তাদের এতো আপত্তি।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ জুন, ২০১৯ ০১:৩৪

যোগ্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাউকে বঞ্চিত করা সরকারের লক্ষ্য নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি।
সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য যে ৪টি ক্রাইটেরিয়া ধরে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে এমপিওর জন্য যোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে। একজন শিক্ষকের পরিচয় তার প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্স দিয়ে বিবেচিত হয়। আমরা অভিযোগ শুনি, পত্র-পত্রিকায় আসে কোনো কোনো শিক্ষক টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের নোট পড়াতে, গাইড বই পড়তে, কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করে। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে আমরা তাদেরতো পুরস্কৃত করতে চাই না। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও দিলে যোগ্যতার কদর থাকে না।’
যোগ্য বিবেচিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শেখ হাসিনার সরকার এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য নয় কাউকে বঞ্চিত করা। যাচাই-বাছাইয়ে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিবেচিত হয়নি সেগুলোর দিকে আমরা সবাই মিলে নজর দিই, চেষ্টা করি যাতে আগামীতে এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়।’
দিপু মণি বলেন, ‘শিক্ষাখাতে ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বাজেট বিএনপির শেষ বাজেটের পরিমাণের দশগুণ। বিএনপি যদি অবকাঠামোর উন্নয়ন করতো তাহলে অকাঠামোর উন্নয়নের দিক থেকে আমরা এগিয়ে থাকতাম। আজ অবকাঠামোর উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ বেশি দিতে হতো না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা বরাদ্দ আরও বেশি দিতে পারতাম। বিএনপির একজন সংসদ সদস্য বলেছেন দেশ মৃত্যুর উপত্যকা। তারা যখন আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, শেখ হাসিনা সরকার তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে, তাই তাদের এতো আপত্তি।’