শাহিনকে প্রধানমন্ত্রীর ৫০ হাজার টাকা সহায়তা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ জুন, ২০১৯ ২২:১৫
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ভ্যানচালক শাহিন মোড়লের (১৫) চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, শাহিনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউরোসার্জারির বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার অসিত চন্দ্র সরকারকে প্রধান করে ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়ে হয়েছে। রবিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্তও শাহিনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা।
শনিবার রাত ১০ টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে আসার পর রাত তিনটার দিকে শাহিনের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন।
তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শাহিনের চিকিৎসার জন্য পরিবারকে প্রাথমিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, প্রটোকল অফিসার-১ এস এম খুরশীদ উল আলম শাহিনের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি।
আহত শাহিনের খালু রবিউল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শনিবার রাতেই শাহিনের মাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে শাহিনের মোবাইলে ফোন আসে এবং তাকে কেউ একজন ভ্যান নিয়ে যেতে বলে। ৭ টার দিকে সে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বেলা ১২ টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা এলাকায় গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তার ভ্যান এবং মুঠোফোনটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
যশোর কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের ভ্যান চালক হায়দার আলী মোড়লের ছেলে শাহিন মোড়ল। তার মায়ের নাম খাদিজা বেগম। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। এলাকারই গোলাঘাট আলিয়া মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে সে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, শাহিনের মাথায় ধারালো কিছুর আঘাত রয়েছে। আঘাত মাথার হাড় ভেঙে ব্রেইনে ঢুকে গেছে এবং আঘাতের স্থল থেকে অনেক রক্তপাত হয়েছে। মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, শাহিনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার রাতে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এর পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। তার অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকেই তার চিকিৎসার জন্য যাবতীয় সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নিউরোসার্জারির বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার অসিত চন্দ্র সরকার রবিবার সন্ধ্যায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে শাহিনকে ভর্তি করার পর তার চিকিৎসায় যা যা প্রয়োজন সবই করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তার অস্ত্র পাচার করা হয়েছে। সে যেন বেটার চিকিৎসা পায় এ জন্যই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বোর্ডের সদস্যরা তাকে দেখেছেন। সে এখন আইসিইউতে অবজারভেশনে আছে। অপারেশনের পরে তাৎক্ষণিক অবস্থার উন্নতি হয় না। একটু সময় দিতে হবে। ৩ থেকে চার দিন পরে বোঝা যাবে। তাকে এখন আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ জুন, ২০১৯ ২২:১৫

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ভ্যানচালক শাহিন মোড়লের (১৫) চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, শাহিনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউরোসার্জারির বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার অসিত চন্দ্র সরকারকে প্রধান করে ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়ে হয়েছে। রবিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্তও শাহিনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা।
শনিবার রাত ১০ টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে আসার পর রাত তিনটার দিকে শাহিনের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন।
তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শাহিনের চিকিৎসার জন্য পরিবারকে প্রাথমিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, প্রটোকল অফিসার-১ এস এম খুরশীদ উল আলম শাহিনের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি।
আহত শাহিনের খালু রবিউল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শনিবার রাতেই শাহিনের মাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে শাহিনের মোবাইলে ফোন আসে এবং তাকে কেউ একজন ভ্যান নিয়ে যেতে বলে। ৭ টার দিকে সে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বেলা ১২ টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা এলাকায় গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তার ভ্যান এবং মুঠোফোনটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
যশোর কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের ভ্যান চালক হায়দার আলী মোড়লের ছেলে শাহিন মোড়ল। তার মায়ের নাম খাদিজা বেগম। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। এলাকারই গোলাঘাট আলিয়া মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে সে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, শাহিনের মাথায় ধারালো কিছুর আঘাত রয়েছে। আঘাত মাথার হাড় ভেঙে ব্রেইনে ঢুকে গেছে এবং আঘাতের স্থল থেকে অনেক রক্তপাত হয়েছে। মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, শাহিনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার রাতে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এর পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। তার অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকেই তার চিকিৎসার জন্য যাবতীয় সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নিউরোসার্জারির বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার অসিত চন্দ্র সরকার রবিবার সন্ধ্যায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে শাহিনকে ভর্তি করার পর তার চিকিৎসায় যা যা প্রয়োজন সবই করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তার অস্ত্র পাচার করা হয়েছে। সে যেন বেটার চিকিৎসা পায় এ জন্যই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বোর্ডের সদস্যরা তাকে দেখেছেন। সে এখন আইসিইউতে অবজারভেশনে আছে। অপারেশনের পরে তাৎক্ষণিক অবস্থার উন্নতি হয় না। একটু সময় দিতে হবে। ৩ থেকে চার দিন পরে বোঝা যাবে। তাকে এখন আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।’