৫০টির অধিক দেশে মাছ রপ্তানি হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জুলাই, ২০১৯ ০১:৩৩
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, ‘পৃথিবীর ৫০টির অধিক দেশে বাংলাদেশ হতে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, রাশিয়ায় বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের প্রধান আমদানিকারক দেশ।’
রোববার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের মো. আফজাল হোসেনের পৃথক পৃথক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কানাডা, হংকং, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, মেক্সিকো, মালদ্বীপ, কুয়েত, লেবানন, মরক্কো, সিঙ্গাপুর, কাতার, মরিশাস, মিয়ানমার, ইউক্রেন, ভারত, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে রপ্তানি করা হয়।
মন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬৮ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানি করে প্রায় ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ১৫৮ মেট্রিক চিংড়ি রপ্তানি করে ২ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা এবং ৩৫ হাজার ১৪৮ মেট্রিক ফিনফিস রপ্তানি করে ৮৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। দেশকে মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি’র প্রায় এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৫.৩০%) মৎস্যখাতের অবদান। আর পরিসংখ্যান ব্যুরো হিসাবে দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম মাছ চাহিদা বিপরীতে গ্রহণের পরিমাণ ৬২.৫৮ শতাংশ। ফলে মাথাপিছু মাছ চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ৯ বছরে গভীর সমুদ্র হতে ২৯ কোটি ৬৭ লাখ ২৬৭ মেট্রিক টন মৎস্য আহরিত হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জুলাই, ২০১৯ ০১:৩৩

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, ‘পৃথিবীর ৫০টির অধিক দেশে বাংলাদেশ হতে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, রাশিয়ায় বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের প্রধান আমদানিকারক দেশ।’
রোববার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের মো. আফজাল হোসেনের পৃথক পৃথক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কানাডা, হংকং, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, মেক্সিকো, মালদ্বীপ, কুয়েত, লেবানন, মরক্কো, সিঙ্গাপুর, কাতার, মরিশাস, মিয়ানমার, ইউক্রেন, ভারত, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে রপ্তানি করা হয়।
মন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬৮ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানি করে প্রায় ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ১৫৮ মেট্রিক চিংড়ি রপ্তানি করে ২ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা এবং ৩৫ হাজার ১৪৮ মেট্রিক ফিনফিস রপ্তানি করে ৮৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। দেশকে মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি’র প্রায় এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৫.৩০%) মৎস্যখাতের অবদান। আর পরিসংখ্যান ব্যুরো হিসাবে দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম মাছ চাহিদা বিপরীতে গ্রহণের পরিমাণ ৬২.৫৮ শতাংশ। ফলে মাথাপিছু মাছ চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ৯ বছরে গভীর সমুদ্র হতে ২৯ কোটি ৬৭ লাখ ২৬৭ মেট্রিক টন মৎস্য আহরিত হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।