শেখ হাসিনা-লি বৈঠক, একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর
অনলাইন ডেস্ক | ৪ জুলাই, ২০১৯ ১১:৪০
চীন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে শুরু হয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা এ বৈঠক চলে।
এর আগে বেলা পৌনে ১১ টার দিকে শেখ হাসিনা বৈঠকস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান লি খ্য ছিয়াং।
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গ্রেট হলের সামনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল গার্ড অব অনার দেয়। তোপধ্বনির পর সুসজ্জিত একটি বাদক দল দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে শোনায়। অভ্যর্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় বৈঠক।
বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হয়। তবে কোন কোন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
শুক্রবার গ্রেট হল অব দি পিপলে চীনা বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিনি। দেশটির বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরাও তার সঙ্গে দেখা করবেন।
চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি জান শুর সঙ্গেও বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
বিকেলে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে। পরে তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের দেওয়া ভোজসভাতেও অংশ নেবেন।
৬ জুলাই দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন তার মেয়ে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। এ ছাড়া আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম সফর।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৪ জুলাই, ২০১৯ ১১:৪০

চীন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে শুরু হয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা এ বৈঠক চলে।
এর আগে বেলা পৌনে ১১ টার দিকে শেখ হাসিনা বৈঠকস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান লি খ্য ছিয়াং।
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গ্রেট হলের সামনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল গার্ড অব অনার দেয়। তোপধ্বনির পর সুসজ্জিত একটি বাদক দল দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে শোনায়। অভ্যর্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় বৈঠক।
বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হয়। তবে কোন কোন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
শুক্রবার গ্রেট হল অব দি পিপলে চীনা বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিনি। দেশটির বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরাও তার সঙ্গে দেখা করবেন।
চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি জান শুর সঙ্গেও বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
বিকেলে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে। পরে তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের দেওয়া ভোজসভাতেও অংশ নেবেন।
৬ জুলাই দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন তার মেয়ে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। এ ছাড়া আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম সফর।