গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বামদলের হরতাল চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জুলাই, ২০১৯ ০৮:৫৬
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল পালন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই এই হরতাল চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
সকালে সরজমিনে রাজধানীর শাহবাগ, পল্টন, প্রেসক্লাব, মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হরতালের তেমন একটা প্রভাব নেই।
শাহবাগ এলাকায় বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা চার রাস্তার মোড় আটকে পথসভা করছেন। এর ফলে এই এলাকায় যানবাহন চলাচলে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই হরতালে ইতিমধ্যে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।
হরতাল সফল করতে লিফলেট বিতরণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে বাম জোটের নেতারা।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়। হরতালে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি, গণফোরামসহ কয়েকটি সংগঠন। এতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
হরতালে সমর্থন দেওয়া অন্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, ন্যাপ, পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
বাম জোটের নেতারা জানিয়েছেন, হরতাল সফল করতে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে পিকেটিংয়ের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। এর মধ্যে পুরানা পল্টন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, মতিঝিল, শাহবাগ, মিরপুর ১ ও ১০, সূত্রাপূর, বাহাদুর শাহ পার্ক, আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর, উত্তরা রয়েছে। এসব জায়গায় জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে পিকেটিং করবেন।
জোটের সমন্বয়ক ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গণশুনানিতে আমাদের বক্তব্য অগ্রাহ্য করে বিইআরসি অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। সিএনজির দাম বৃদ্ধি করায় পরিবহন ব্যয় বাড়বে। শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় শিল্পপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেলে শিল্প পণ্যসহ, কৃষি সেচে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এভাবে ব্যয় বৃদ্ধির ফাঁদে জনগণ নিপতিত হবে; জনগণের জীবন নির্বাহের ব্যয় বাড়বে। তাদের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হবে।’
আজকের হরতালে কোনো ধরনের উসকানি না দিতে সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘হরতালে জনগণ রাজপথে অবস্থান নিয়ে তার প্রমাণ দেবে। জনগণ কোনো ধরনের উসকানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জনস্বার্থের হরতালের সমর্থনে রাজপথে নেমে আসবে।’
এদিকে হরতালের আগে গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কার্যালয়ে থেকে বের হওয়া নেতাকর্মীদের কয়েকজনকে আটক করেছে তারা। এর মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলামও রয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাম জোটের হরতালে কোনো ধরনের নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মানুষের জানমাল রক্ষাসহ যেকোনো ধরনের বলপ্রয়োগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জুলাই, ২০১৯ ০৮:৫৬

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল পালন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই এই হরতাল চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
সকালে সরজমিনে রাজধানীর শাহবাগ, পল্টন, প্রেসক্লাব, মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হরতালের তেমন একটা প্রভাব নেই।
শাহবাগ এলাকায় বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা চার রাস্তার মোড় আটকে পথসভা করছেন। এর ফলে এই এলাকায় যানবাহন চলাচলে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই হরতালে ইতিমধ্যে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।
হরতাল সফল করতে লিফলেট বিতরণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে বাম জোটের নেতারা।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়। হরতালে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি, গণফোরামসহ কয়েকটি সংগঠন। এতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
হরতালে সমর্থন দেওয়া অন্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, ন্যাপ, পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
বাম জোটের নেতারা জানিয়েছেন, হরতাল সফল করতে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে পিকেটিংয়ের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। এর মধ্যে পুরানা পল্টন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, মতিঝিল, শাহবাগ, মিরপুর ১ ও ১০, সূত্রাপূর, বাহাদুর শাহ পার্ক, আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর, উত্তরা রয়েছে। এসব জায়গায় জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে পিকেটিং করবেন।
জোটের সমন্বয়ক ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গণশুনানিতে আমাদের বক্তব্য অগ্রাহ্য করে বিইআরসি অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। সিএনজির দাম বৃদ্ধি করায় পরিবহন ব্যয় বাড়বে। শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় শিল্পপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেলে শিল্প পণ্যসহ, কৃষি সেচে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এভাবে ব্যয় বৃদ্ধির ফাঁদে জনগণ নিপতিত হবে; জনগণের জীবন নির্বাহের ব্যয় বাড়বে। তাদের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হবে।’
আজকের হরতালে কোনো ধরনের উসকানি না দিতে সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘হরতালে জনগণ রাজপথে অবস্থান নিয়ে তার প্রমাণ দেবে। জনগণ কোনো ধরনের উসকানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জনস্বার্থের হরতালের সমর্থনে রাজপথে নেমে আসবে।’
এদিকে হরতালের আগে গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কার্যালয়ে থেকে বের হওয়া নেতাকর্মীদের কয়েকজনকে আটক করেছে তারা। এর মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলামও রয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাম জোটের হরতালে কোনো ধরনের নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মানুষের জানমাল রক্ষাসহ যেকোনো ধরনের বলপ্রয়োগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত।