গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি দিলেন কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জুলাই, ২০১৯ ২২:৩৭
সংসদের গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সাময়িক ক্ষতি হলেও পরোক্ষভাবে লাভবান হবে মানুষ।
রোববার সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী।
প্রশ্নটি করেছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।
উত্তরে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, স্বীকার করি, দাম বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে চিন্তা করতে হবে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে কিছুটা দাম বাড়লেও এর নানামুখী প্রভাব, অর্থাৎ শিল্প কারখানা স্থাপনসহ সার্বিক অর্থনীতির উপর কী প্রভাব পড়বে, সেটা বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, সবসময় যদি সরকারকে ভর্তুকি দিতেই হয়, তাহলে কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কাজেই সকল দিক বিচার বিবেচনা করে দাম বাড়াতে হয়েছে। এতে করে কিছু কিছু মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরোক্ষভাবে আমরা সবাই লাভবান হব। সার্বিক অর্থনীতির উপরে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বড় প্রয়োজন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা। ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। তারা শিক্ষা শেষে কিন্তু এই ছেলেমেয়েরা গ্রামের মাঠে গিয়ে আর কৃষি কাজ করবে না। তাদের জন্য চাকরি দরকার। সেই চাকরির জন্য শিল্প কারখানা করা দরকার। আর শিল্প কারখানার জন্য সব থেকে বড় অন্তরায় ছিল জ্বালানি। আমরা এলএনজি বিদেশ থেকে আমদানি করে গ্যাস সরবারের চেষ্টা করছি।
সংসদকে না জানিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো আইনসম্মত কি না জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। সংসদ সদস্য নোটিস দিলে সঠিক উত্তর পাবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২০০ মগাওয়াট। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারা এক ওয়াট বিদ্যুতও যোগ করতে পারেনি। এখন ১৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জুলাই, ২০১৯ ২২:৩৭

সংসদের গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সাময়িক ক্ষতি হলেও পরোক্ষভাবে লাভবান হবে মানুষ।
রোববার সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী।
প্রশ্নটি করেছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।
উত্তরে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, স্বীকার করি, দাম বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে চিন্তা করতে হবে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে কিছুটা দাম বাড়লেও এর নানামুখী প্রভাব, অর্থাৎ শিল্প কারখানা স্থাপনসহ সার্বিক অর্থনীতির উপর কী প্রভাব পড়বে, সেটা বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, সবসময় যদি সরকারকে ভর্তুকি দিতেই হয়, তাহলে কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কাজেই সকল দিক বিচার বিবেচনা করে দাম বাড়াতে হয়েছে। এতে করে কিছু কিছু মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরোক্ষভাবে আমরা সবাই লাভবান হব। সার্বিক অর্থনীতির উপরে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বড় প্রয়োজন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা। ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। তারা শিক্ষা শেষে কিন্তু এই ছেলেমেয়েরা গ্রামের মাঠে গিয়ে আর কৃষি কাজ করবে না। তাদের জন্য চাকরি দরকার। সেই চাকরির জন্য শিল্প কারখানা করা দরকার। আর শিল্প কারখানার জন্য সব থেকে বড় অন্তরায় ছিল জ্বালানি। আমরা এলএনজি বিদেশ থেকে আমদানি করে গ্যাস সরবারের চেষ্টা করছি।
সংসদকে না জানিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো আইনসম্মত কি না জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। সংসদ সদস্য নোটিস দিলে সঠিক উত্তর পাবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২০০ মগাওয়াট। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারা এক ওয়াট বিদ্যুতও যোগ করতে পারেনি। এখন ১৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।