পদ্মা সেতুর দুই পাশে ১ লাখ ৭০ হাজার গাছ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:৫৯
নির্মানাধীন পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর কাজ জুন পর্যন্ত ৮১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে নদী শাসন কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৫৯ শতাংশ। এছাড়া সেতু এলাকার দুই পাশে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৭টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। সেতুর ভৌতিক অগ্রগতি হয়েছে ৭১ শতাংশ।
রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, মো. হাসিবুর রহমান স্বপন, মো. আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহউদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন এবং রাবেয়া আলীম উপস্থিত ছিলেন ।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য জানান, সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুর অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। তবে প্রতিবেদনটি নিয়ে সভায় বিস্তারিত কোনো আলাপ হয়নি। সংসদ অধিবেশন শেষে কমিটির সদস্যরা পদ্মা সেতু নির্মান এলাকায় যাবেন। সেখানে তারা কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও সেতু সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও পরিদর্শন করবেন বলে জানা যায়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩০ জুন ১৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর মোট ২৬২টি পাইলের মধ্যে জুন পর্যন্ত ২৫৬টি এবং ৪২টি পিয়ার কলামের ২৯টির নির্মাণ শেষ হয়েছে। জাজিরা সংযোগ সড়ক, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সেতু নির্মাণ এলাকায় যে সব ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মাঝে গত জুন মাস পর্যন্ত ৬৪১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত সহায়তা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া পুনর্বাসন এলাকায় নির্মিত ২ হাজার ৬৯০টি প্লট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৯৭টি ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে প্লট দেওয়া হয়েছে। সেতু প্রকল্প এলাকায় একটি জাদুঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২০২৩টি নমুনা জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বৈঠকে বিআরটিসির সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু বিভাগের আওতাধীন চলমান মেগা প্রকল্পসমূহের সর্বশেষ অবস্থা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি একাব্বর সাংবাদিকদের জানান, বিআরটিসির ডিপো ম্যানেজারদের দায়িত্ব পালনে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কাজ দ্রুত ও টেকসই করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং বিআরটিসির চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:৫৯

নির্মানাধীন পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর কাজ জুন পর্যন্ত ৮১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে নদী শাসন কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৫৯ শতাংশ। এছাড়া সেতু এলাকার দুই পাশে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৭টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। সেতুর ভৌতিক অগ্রগতি হয়েছে ৭১ শতাংশ।
রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, মো. হাসিবুর রহমান স্বপন, মো. আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহউদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন এবং রাবেয়া আলীম উপস্থিত ছিলেন ।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য জানান, সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুর অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। তবে প্রতিবেদনটি নিয়ে সভায় বিস্তারিত কোনো আলাপ হয়নি। সংসদ অধিবেশন শেষে কমিটির সদস্যরা পদ্মা সেতু নির্মান এলাকায় যাবেন। সেখানে তারা কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও সেতু সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও পরিদর্শন করবেন বলে জানা যায়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩০ জুন ১৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর মোট ২৬২টি পাইলের মধ্যে জুন পর্যন্ত ২৫৬টি এবং ৪২টি পিয়ার কলামের ২৯টির নির্মাণ শেষ হয়েছে। জাজিরা সংযোগ সড়ক, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সেতু নির্মাণ এলাকায় যে সব ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মাঝে গত জুন মাস পর্যন্ত ৬৪১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত সহায়তা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া পুনর্বাসন এলাকায় নির্মিত ২ হাজার ৬৯০টি প্লট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৯৭টি ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে প্লট দেওয়া হয়েছে। সেতু প্রকল্প এলাকায় একটি জাদুঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২০২৩টি নমুনা জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বৈঠকে বিআরটিসির সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু বিভাগের আওতাধীন চলমান মেগা প্রকল্পসমূহের সর্বশেষ অবস্থা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি একাব্বর সাংবাদিকদের জানান, বিআরটিসির ডিপো ম্যানেজারদের দায়িত্ব পালনে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কাজ দ্রুত ও টেকসই করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং বিআরটিসির চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।